সাজ্জাদ হোসেন,সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় প্রশাসনিক অভিযানের পরও কুমার নদীতে ফে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে। বছরের পর বছর প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ড্রেজার ও বুম মেশিন দ্বারা প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের লোকজন এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। ফলে হুমকিতে পড়েছে উপজেলার খারদিয়া বাজার এলাকায় সোনাপুর ও যদুনন্দী ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া কুমার নদীতে এই ড্রেজার বসানো হয়েছে। এতে নদী দুই পাড়ে থাকা পাকা সড়ক চরম বিপাকে পড়েছে।ফলে নদীর পাড় ভেঙ্গে পাকা সড়ক ফাটল ধরার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খারদিয়া বাজার এলাকায় কুমার নদীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন নাসির হোসেন নামে এক বালু ব্যবসায়ী। সড়কের উপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ স্থাপন করা হয়েছে।
যেখানে কোনো সংকেত দেওয়া হয়নি। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দুই পাড়ে থাকা কোটি ব্যয়ে নির্মিত পাকা সড়ক ঝুঁকিতে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কুমার নদীটি খনন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাইবো)। এরপরেও ড্রেজার ব্যবসায়ী নাসির হোসেন গত দুই মাস ধরে কুমার নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছেন। গত ৬ এপ্রিল অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলন করার সময় অভিযান পরিচালনা করে তার ড্রেজার মেশিন অকেজো ও পাইপ ভেঙে দেয় উপজেলা প্রশাসন। তবে অভিযানের কিছুদিন পার না হতেই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সেই একই স্থানে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করেছে নাসির।
ড্রেজার মেশিন মালিক নাসির হোসেন বলেন, সবাই কে ম্যানেজ করেই কুমার নদী থেকে ফের ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছি। মাত্র কয়েকদিন বালু উত্তোলন করেই বন্ধ করে দিব। এই নিয়ে লেখালেখি করে লাভ হবে না।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। কিছুদিন পূর্বে ওইখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে।