দৃশ্যপট ডেস্ক:
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যারা বিগত ১৬ বছর রাজপথে মাঠে ছিল, যাদের নামে মামলা রয়েছে, জেল খেটেছে। তারাই বিএনপির নেতৃত্বে আসবে। বিএনপি কোন নেতাকর্মী আওয়ামীলীগের দোসরদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিবেন না। কারন কেউটে সাপের চেয়েও আওয়ামীলীগ ভয়ঙ্কর। আওয়ামীলীগ জবান ও জাহাঙ্গীরকে হত্যার মাধ্যমে হত্যার রাজনীতি শুরু করেছে। ৪ আগষ্ট শহরের প্রধান সড়কে যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জুকে শুধু গুলিই করেনি জবাই করে সিরাজগঞ্জে রক্তে রঞ্জিত করেছে। আওয়ামীলীগকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জ বাজার ষ্টেশন মুক্তির সোপানে আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে স্বাক্ষাত ও আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা শুনি শুধু সংস্কার সংস্কার। যারা এগুলো বলছেন, তারা বিএনপির ৩১ দফা দেখে নিবেন। তাতে কি লেখা রয়েছে, আর আপনারা কি কি দিচ্ছেন। ৩১ দফা লেখা রয়েছে একজন ব্যক্তি দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য করা হবে। এর চেয়ে বড় সংস্কার কি হতে পারে? কোনটা বাদ রয়েছে ৩১ দফায়। তারপরেও বলছি আপনার সংস্কার করছেন করেন। সংস্কার চান? তাহলে নির্বাচন দিন। সরকার গঠন করে সংস্কার করা হবে। সরকার আইন পাশ করবেন। প্রায় ৬ মাস চলে গেছে তারপরেও নির্বাচনের কোন খবর পাচ্ছি না। এখন শুনছি নতুন দল হচ্ছে। আবার একদল নতুন করে লাফানো শুরু করেছে। দলটির আমির বলছে, শেখ মুজিবুর মারা গেছে, শেখ মুজিবুরের মেয়ে আওয়ামীলীগের হাল ধরেছে। জিয়াউর রহমান মারা গেছে বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেছে। এখন তারেক রহমান হাল ধরেছেন। আর জামায়াতের গোলাম আজম মারা গেছে মতিউর রহমান হাল ধরেছে। মতিউর চলে গেছেন দলের অন্যান্যরা নেতারা হাল ধরেছেন। তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, জিয়াউর রহমানের পর জনগন বেগম খালেদা জিয়াকে দায়িত্ব দিয়েছে। জনগনের কাছে জিয়াউর রহমানের পরিবার মুলধারার রাজনীতি।
টুকু আরও বলেন, তারেক রহমান নতুন রাজনীতি সৃষ্টি করেছে। তিনিই বাংলাদেশে বাংলাদেশের কাছে মানুষের তিনি জননন্দিত নেতা। উনার প্রত্যকটা বক্তব্য মানুষ গ্রহন করেন। সমাদর করে। সুতরাং আপনার হাজার ঘেউ ঘেউ করে লাভ হবে না। তারেক রহমান নেতা, তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরবেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এদেশে নির্বাচন হবে এবং বিএনপি নির্বাচন করে জয়লাভ করবে। এটা আমরা বিশ্বাস করি। কারণ আমরা জনগণকে রেখে পালিয়ে যাই নাই। হাজার নির্যাতন-হামলা, মামলার মধ্যেও বিএনপি পালিয়ে যায় নাই।
জামায়াতের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ৭২ সংবিধানের উল্লেখ ছিল ধর্মভিত্তিক দল রাজনীতি চলবে না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহন করে রাজনীতিকে সার্বজনীন করার জন্য আপনাদের লাইসেন্স দিয়েছেন। আর আজকে বলছেন, জিয়াউর রহমানের পরিবারতন্ত্র চলবে না। জনগন চাইলে তোমরা কি করবে? জনগন চায় জিয়াউর রহমানের পরিবার আমাদের নেতৃত্বে দিবে।
আমরা বিএনপির পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে ও সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা ই জামান সেলিম, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, আমরা বিএনপি পরিবারের সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কনকচাঁপা, সাবেক ডিআইজি আবু সাইদ খান।
আলোচনা সভা শেষে ১১ জন শহীদ পরিবার এবং একজন আহত পরিবারের মাধ্যে নগদ ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। সভায় নিহত আহত পরিবারের সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।