প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২০, ২০২৫, ১২:২৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ১১, ২০২৫, ৫:৩৭ পি.এম
উল্লাপাড়ায় বাউত উৎসবে মেতেছে সৌখিন মাছ শিকারীরা

শাহ আলম সরকার উল্লাপাড়া:
কুয়াশাঢাকা ভোরের হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। এর মধ্যেই চলনবিল অধ্যুষিত উল্লাপাড়া উধুনিয়া এলাকায় ঐতিহ্যবাহী 'বাউত উৎসবে' মেতে ওঠেছেন শৌখিন মাছশিকারিরা। এ উৎসবকে অনেকে 'পলো উৎসব' নামেও চেনেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) হেমন্তের কাকডাকা ভোরে পলো, চাক পলোসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ নিয়ে দূর-দূরান্তের শৌখিন মাছশিকারিরা হাজির হয়ে যান চলনবিল অধ্যুষিত খাদুলী মৌজার উধুনিয়া বেতগাঁ নদীতে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মনের আনন্দে চলে মাছ শিকার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চলনবিলে অধ্যুষিত উল্লাপাড়া উধুনিয়া বেতগাঁ নদীতে প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার মাছশিকারি সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একসঙ্গে মৎস্য শিকার করে। তাদের হাতে ছিল পলো, চাক পলো, নোট পলো, লাঠিজালসহ মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম। বিলপাড়ে ও নদীপাড়ে সমবেত হওয়ার পর একসঙ্গে বিলে ও নদীতে নেমে মাছ ধর'র আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠে শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়সী মানুষ।
চলনবিলে মাছ ধরতে আসা বাউত উৎসবের মাছশিকারি আগ-গয়হাট্টা গ্রামের নুর মোহাম্মদ সরকার বলেন, 'আমি প্রতি বছর মাছ শিকার করি। প্রতি বছর শখের বসে মাছ শিকারের জন্য চলন বিলের বিভিন্ন জায়গায় যাই। এখানে অনেক আনন্দ হয় তার সাথে আবার বড় বড় মাছ পাই। বাউতের একটা উৎসব হয়। এজন্যই আমরা আসি।
চকপাঙ্গাসী গ্রামের খোরশেদ আলী জানান 'বহু পুরোনো কাল থেকে এ চলনবিল অধ্যুষিত এলাকায় মাছ শিকারের জন্য পলোর ব্যবহার হয়ে আসছে। তাই আমরা চলনবিলে মাছ শিকার করতে এসেছি।' এখানে এ বাউত উৎসবে অনেক আনন্দ হয় তাছাড়া এ উৎসবে বোয়াল, শোল, রুই, কাতলা সহ বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়।
খাদুলী গ্রামের সোহরাব জানান, দল বেঁধে মাছ ধরার এ আয়োজনে মাছশিকারিদের ডাকা হয় বাউত, তাদের ঘিরেই উৎসবের নামকরণ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব নুরুল হক নয়ন
✆ ০৯৬৩৮-৯০৭৬৩৬। ই মেইল: thedailydrishyapat@gmail.com
।
Copyright 2025 Pratidinerdrishyapat