মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
প্রথমে কম বয়সী স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করা হতো। পরে টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের দিয়ে করানো হতো সমকামী পর্নো ভিডিও। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বার বার সমকামিতায় বাধ্য করার পর আবার সেই ভিডিও ধারণ করতেন তারা। এমনকি নিজেরাও সমকামীতায় লিপ্ত হয়ে নিজেই নিজেদের ভিডিও ধারণ করতেন।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ভূক্তভোগী এক স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে মোতাহার হোসেন (৩২) ও মেজবা মিয়া (২৭) নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতভর পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার হওয়া মোতাহার হোসেন কালিতলার এবং অপর জন মেজবা মিয়া মরিচ পাড়া এলাকার। দুই জনই ঘোড়াঘাট পৌরশহরের বাসিন্দা। পরে বুধবার (৩ জুলাই) গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুইকে আসামি করে ভূক্তভোগী এক কিশোরের মা পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের কাছে থাকা দুইটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে এবং তাদের ফোনে একাধিক পর্নো ভিডিও এবং সমকামীতার ভিডিও পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় থানা কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করে থানা পুলিশ। সম্মেলনে ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ.ন.ম নিয়ামত উল্লাহ জানান, কম বয়সী শিক্ষার্থীদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সমকামী ভিডিও তৈরি করতো। ভিডিও ধারণ শেষে টাকা দিয়ে আরো ভিডিও তৈরি করতে চাপ প্রয়োগ করতো তারা। এতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিত। পরে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামীদেরকে বুধবার বিকেলে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামীদেরকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।