নিজস্ব প্রতিবেদক :
দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখে দেশের জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করেছেন সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান নাজমুল হাসান। জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিক হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার প্রচারে তিনি সারাদেশ চষে বেড়াচ্ছেন। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলকে সুসংগঠিত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তরুণ এই নেতা। স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালেও নানা বাধা-বিপত্তি ও ভয় উপেক্ষা করে তিনি সবসময়ই নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান করেছেন।

নাজমুল হাসান সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের কয়েলগাঁতী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আকতার হোসেন একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। কয়েলগাঁতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার শিক্ষাজীবনের হাতেখড়ি হয়। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পঞ্চম শ্রেণী পাস করার পর কোনাবাড়ি ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকে ভর্তি হন। এরপর সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

ছাত্রদলে যোগদানের মাধ্যমে নাজমুল হাসানের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বলাভ করেন। পরবর্তীতে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও সহ-সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নাজমুল দুবার কারাবরণ করেছেন। ২০০১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রাজবন্দী হিসেবে ৬ মাস কারাভোগ করেন। ওই সময় মুজিব হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্বে থাকাকালে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের জন নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হন তিনি। এছাড়াও ২০১৮ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৫টি গায়েবি মামলা চলমান রয়েছে।
বিগত ১৬ বছর ধরে নাজমুল হাসান স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের সকল অন্যায়-অবিচারের প্রতিবাদে ছিলেন সরব। ঢাকার রাজপথে বিএনপির প্রতিটা রাজনৈতিক কর্মসূচির অগ্রভাগে থাকতেন তিনি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাজমুল হাসানের জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছে। জুলাই-আগষ্ট সরকার পতনের আন্দোলনেও তার ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।

এসব কারণে সারাদেশের স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান নাজমুল হাসান।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যোগদানের মধ্য দিয়ে আমার রাজনীতির হাতেখড়ি হয়। এরপর থেকেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছি। স্বৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সকল রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। তারা দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দেবে।