বন্ধুত্ব—একটি আবেগ, একটি অনুভূতির নাম। সময়ের ব্যবধান, জীবনের ব্যস্ততা—সবকিছু পেছনে ফেলে, পুরনো দিনের বন্ধুরা এক সন্ধ্যায় একত্রিত হলেন ঠাকুরগাঁওয়ে। শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেল থেকে শহরের অভিজাত 'রয়েল প্যালেস' ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় "ঠাকুরগাঁও ৯২ বন্ধু" শিরোনামে এক মিলনমেলা।
এই আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন বন্ধু ফরিদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরেই এই মিলনমেলার পরিকল্পনায় ছিলেন। আয়োজনটিতে অংশগ্রহণ করেন জেলার সবকটি উপজেলার ৯২ ব্যাচের বন্ধুরা। কেউ এসেছেন রানীশংকৈল থেকে, কেউ বালিয়াডাঙ্গী, কেউ আবার পীরগঞ্জ কিংবা হরিপুর থেকে। সবাই যেন ফিরেছিলেন তাদের যৌবনের দিনগুলিতে, শিক্ষাজীবনের সেই স্বর্ণালী সময়ে।
অনুষ্ঠানে অংশ নেন— মাহবুবুল হাসান তুহিন, ফরিদ, এডভোকেট আলমগীর, রাজু, বাবু, প্রভাষক সফিকুল ইসলাম শিল্পী, রবিউল ইসলাম সবুজ, শাহনেওয়াজ, আহম্মদ হোসেন বিপ্লব, খলিলুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, হানিফসহ আরও অনেকে।
এই মিলনমেলায় ছিল বন্ধুত্বের গল্প, স্মৃতিচারণ, হাসি-ঠাট্টা আর চমকপ্রদ লটারি ড্র। সন্ধ্যার পর আয়োজন করা হয় সৌহার্দ্যপূর্ণ নৈশভোজ—যেখানে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডায় ভরে উঠে মিলনমেলার রাত।
এসময় অনুষ্ঠানে বন্ধুরা বলেন,-
“সময় তো আর ফিরে আসে না, কিন্তু এই বন্ধুদের মাঝে ফিরে পাই সেই পুরনো দিনগুলোর গন্ধ। খুব ভালো লাগছে।”
“এই ধরনের আয়োজন প্রতি বছর হলে ভালো হয়। আমরা আবারও একত্রিত হতে চাই।”
'৯২ আয়োজনের বিশেষ দিক ছিল:
সব উপজেলার বন্ধুদের একত্রে যুক্ত করা,
স্মৃতিচারণ ও একে অপরকে নতুনভাবে জানার সুযোগ,
লটারির মাধ্যমে সবাইকে আনন্দে যুক্ত রাখা,
সন্ধাভোজে একত্রে মিলন ও সৌহার্দ্য তৈরি,
এ আয়োজন যেন বন্ধুত্বের জয়গান গেয়েছে, যেখানে ছিল না কোনো ভেদাভেদ, ছিল কেবল একসাথে থাকার আবেগ।
প্রযুক্তির যুগে মানুষ যখন দিনে দিনে একাকী হয়ে পড়ছে, তখন এমন আয়োজন বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে। '৯২ বন্ধু'দের এই মিলনমেলা ঠাকুরগাঁওয়ের সামাজিক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।