নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর রাণীনগরে একটি বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে তিনটি গরুসহ
একটি বাড়ি পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার ১৪ এপ্রিল রাত একটার দিকে
উপজেলার ছয়বাড়ীয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত কায়সার মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম কুদ্দুসের বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে । সংবাদ পেয়ে রাণীনগর ফায়ার সার্ভিস দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই এসব পুড়ে গেছে। এতে প্রায় সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভূক্তভোগী পরিবারের দাবি।
ক্ষতিগ্রস্ত নজরুল ইসলামের আরেক ছেলে সোহেল মন্ডল জানান, রাত বারোটার পরে খাওয়া-দাওয়া করে শুয়ে পড়েন । এরপর রাত একটার দিকে বাড়ির প্রধান দরজাসহ বাড়ির তিন পাশে হঠাৎ করে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে । প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের ডেকে তোলেন । বাড়ির লোকজনের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার আগেই তিনটি বিদেশি গরু, ১০-১৫ টি হাঁস মুরগি মরে গেছে। এছাড়াও ফ্রিজসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সাত লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, প্রধান দরজা বাহির থেকে গেট লাগিয়ে দেওয়া ছিল । এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোহেল মন্ডল আরো জানান, গরুর দুটি সেটে ১০টি গরু ছিল। প্রতিবেশীরা সহযোগীতা না করলে তার দশটি গরুই পুড়ে ছাই হয়ে যেত এবং পরিবারের সবাই আগুনে পুড়ে মারা যেতেন। ঘটনায় রাণীনগর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
রাণীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এদিন রাত একটার পর সংবাদ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় বিশ মিনিটের চেষ্টায় অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তিনটি গরু মারা যাওয়ার কারণে ক্ষতির পরিমাণ একটু বেশি হয়েছে। প্রায় ৫লাখ টাকার মতো। এছাড়া ক্ষতির হাত থেকে সাত লাখ টাকার মতো জীব ও আসবাবপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে গোবরের ঘুটা জ্বালানী বেশি পরিমাণে মজুদ ছিল। সেই কারণে আগুনের ধোঁয়ার পরিমাণও বেশি ছিল। তাই আরও বেশি ক্ষতি হওয়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।
রানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ মুঠোফোনে বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব নুরুল হক নয়ন
✆ ০৯৬৩৮-৯০৭৬৩৬। ই মেইল: thedailydrishyapat@gmail.com
।
Copyright 2025 Pratidinerdrishyapat