নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জে বাক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মো. হোসেন আলী (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে বিচার দাবী করায় ওইদিনই নির্যাতিত তরুণীর বাবার মুদি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করেছে হোসেন আলী এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার পরও স্থানীয় মুরুব্বীরা শালিসী বৈঠকের আয়োজন করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় মিমাংসার চেষ্টা করেন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) এমন অভিযোগ করেন, নির্যাতিত প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের বড় হামকুড়িয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমি জীবিকার তাগিদে গোপালগঞ্জে অবস্থান করি। আমার স্ত্রী বাড়িতে একটি মুদি দোকান চালায়। গত ১৭ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পাশে আমাদের দোকানের সামনে থেকে আমার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে কৌশলে নিয়ে যায় হোসেন আলী। এরপর তাকে পাশের একটি গলিতে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। আমার স্ত্রী মেয়েকে খুঁজতে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তখন হোসেন আলী ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। এরপর আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানিয়ে স্থানীয় মুরুব্বীদের কাছে বিচার দাবী করেন আমার স্ত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিনই রাত ৯টার দিকে হোসেন আলী ও তার পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের মুদি দোকানে হামলা করে। তারা দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে।
রফিকুল বলেন, খবর পেয়ে আমি বাড়িতে চলে আসি। এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর আমি নিজে বাদী ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছি। এদিকে মামলা চলা অবস্থাতেও গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে স্থানীয় মুরুব্বীরা শালিসী বৈঠকের আয়োজন করে। ওই শালিসে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করলে আমি সেটা প্রত্যাখান করেছি। আমি আমার মেয়ের উপর হওয়া অন্যায়ের বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা মিলেছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।