দৃশ্যপট ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিনা পারিশ্রমিকে বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসায় বৈদ্যতিক ওয়ারিংয়ের কাজ করে যাচ্ছেন মানবাকি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। তাদের এ কাজে মসজিদ-মাদ্রাসা কমিটির লোকজন ও স্থানীয়রা সাধুবাদ জানিয়েছে। অন্যের বাসা বাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের ফাঁকে মসজিদ ও মাদ্রাসায় বিনামূল্যে ইলেকট্রিক ওয়ারিং এর কাজ করেন যুবক ইমন হোসন ও তার সহযোগিরা। বয়সে তারা সবাই তরুণ। এ পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলার ৫৬ টি মসজিদ ও মাদ্রাসায় পারিশ্রমিক ছাড়াই এ কাজ করেছেন। ২০২১ সাল আগস্ট মাস থেকে এ কাজের যাত্রা শুরু করে তরুণরা। তারা তাদের সংগঠনের নাম দিয়েছে মানবিক ফাউন্ডেশন। আর এখানে কাজ করছেন ৬ জন স্বেচ্ছাসেবী।
সর্বশেষ শনিবার ( ১৫ মার্চ ) সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের আটঘরিয়া পূর্ব পাড়া তালুকদার বাড়ি মসজিদে ওয়ারিং এর কাজ করেছে সংগঠনটির সদস্যরা। প্রথমে প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান ইমন এ কাজের উদ্যোগ নেন। মানবিক ফাউন্ডেশনের সদস্য শাকিল খান জানান, আমরা সওয়াবের জন্যে কাজ করি। এজন্য কোনো পারিশ্রমিক নেই না। বরং নিজের পকেটের টাকা খরচ হয়। মসজিদ ও মাদ্রাসার বিনামূল্যে ইলেকট্রিক ওয়ারিং করার জন্যে আমাদের মানবিক ফাউন্ডেশন নামে সংগঠনও খোলা আছে। আরেক সদস্য ইসলাম খান বলেন, আমাদের নিজেদের কাজের ফাঁকে আমরা এ কাজটি করি। এখন পর্যন্ত আমরা ৫৬ টি মসজিদ ও মাদ্রাসার কাজ শেষ করেছি। মসজিদ ও মাদ্রাসার কাজের দায়িত্ব আমাদের সবার আছে। নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকেই আমাদের এ উদ্যোগ।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী হাসান ইমন কালবেলা কে জানান, যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন মসজিদ ও মাদ্রাসার ওয়ারিংয়ের কাজ বিনা পারিশ্রমিকে করে যাবেন। তিনি আরো জানান, আমরা তিন বছর শেষে ৪ বছরে পা দিলাম।এ যাবত মসজিদ ও মাদ্রাসার ইলেকট্রিক্যাল ওয়ারিং এর কাজ বিনামূল্যে করে আসছি ।একেকটি মসজিদ ওয়ারিং কাজ করতে খরচ পরে ২৫/ ৩০ হাজার টাকা। সে খানে আমরা ফ্রি করে দিচ্ছি।আজকে এই তালুকদার বাড়ি মসজিদ দিয়ে ৫৬ টির কাজ শেষ করলাম হাতে ১০/১২ টা কাজ আছে ইনশাআল্লাহ শেষ কবর।
সিরাজগঞ্জ জেলার প্রত্যক উপজলোতে আমাদরে এ কাজ চলমান আছে । দুনিয়াবি কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। এখানে সবাই স্বেচ্ছায় এবং আখেরাতের উদ্দেশ্যে কাজ করেন।
এদিকে জেলা-উপজেলা সর্বত্র মানবিক ফাউন্ডেশনের নাম ছড়িয়ে পড়েছে তাদের এই মহানুভতা ও সামাজিক কাজ করার কারনে।
এ বিষয়ে অত্র মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. রেজাউল করিম ওই কাজের প্রতি সমর্থন ও সাধুবাদ জানিয়ে ভূয়সি প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে সংগঠনটির ভবিষ্যৎ আরও সাফল্য কামনা করেন।
অপরদিকে ইমন হোসেনের এমন উদার মানসিকতার সরকারি ও সামাজিক সহযোগিতা করা হলে সমাজে আরো অনেকেই এমন সামাজিক কাজে এগিয়ে আসতে উৎসাহ পাবে বলে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন।