নিজস্ব প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর (বানাতের মোড় ) গ্রামের জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে শুক্রবার ( ২৮ মার্চ) বিকাল থেকে মিম খাতুন নামের এক তরুণী বিয়ের দাবিতে অনশনে করছেন।
শনিবার (২৯ মার্চ ) সকালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মিম খাতুনের সাথে কথা বললে তিনি জানান ,একই এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছোট ছেলে ফিরোজ উদ্দিনের( ২১) সাথে তার ৩ মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । মেয়ের পিতা শরীফ হোসেন তিনি একজন সিএনজি চালক ও একয় এলাকায় বাড়ি।
মিম খাতুন (১৭) বলেন ফিরোজ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে একাধিক বার শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। তাকে আমি বিয়ের কথা বললেই সে বলতো আগে আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে টা করুক, তারপর তোমাকে আমি বিয়ে করে আমার ঘরে তুলবো। কিন্তু ৩ মাস পার হয়ে গেলেও সে আমাকে দেওয়া কথা না রেখে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেছে। এক মাসের বেশি হলো আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ফিরোজ।
এজন্য আমি তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে উপস্থিত হয়েছি , ছেলের মা আমাকে জিজ্ঞাসা করলে সব কিছু খুলে বলি কিন্তু তারা আমার কথা বিশ্বাস করে না।
আমি ফিরোজের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তা পরিবারের লোকজন আমাকে কথা বলতে দেয় নাই। সে বিষয় টি অস্বীকার করে আমাকে সে চেনে না বলে তার বাবা মাকে জানিয়ে দেয়।
এরপর তার বাবা,মা,বড় ভাই মিরাজ ও তার চাচি সহ বেশ কয়েক জন মিলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা চালায়,আমি বের হতে না চাইলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে অজ্ঞান অবস্থায় তাদের বাড়ির বাহিরে ফেলে রাখে।
এমতো অবস্থায় আমার জ্ঞান ফিরে এলে দেখি আমি তাদের বাড়ির বাহিরে পড়ে আছি। তখন কান্না কাটি শুনে আশপাশের মানুষজন ছুটে এসে আমার বাড়িতে জানালে আমার অভিভাবক ও এলাকা বাসী বিষয় টি নিয়ে মিমাংসার উদ্যোগে ছেলের বাড়ি তে তারাবীহ নামাজ পরে বসলে ছেলে পক্ষো একদিন সময় নেয়। সময়ের কথা বলে তারা সবাই বাড়ি থেকে সরে পরে।
শনিবার (২৯ মার্চ )ভোরে বাড়ির মেইন গেটে তালা দিয়ে আমাকে বাহিরে ফেলে রেখে তারা সবাই চলে যায়। মিম খাতুন আরো বলেন একজন মেয়ের জীবনে সবচেয়ে বড় সন্মান হলো তার সতীত্ব যা আমি হারিয়ে ফেলেছি,এখন আমি কি করব আমাকে যদি ফিরোজ ও তার পরিবার মেনে না নেয় তাহলে আমি এখানেই আত্মাহত্যা করবো তাও আমি এ বাড়ি ছেড়ে যাবো না।
রবিবার ( ৩০ মার্চ) বেলা ১১ টায় এলাকা বাসী মেয়ের বিয়ে ও বিচারের দাবিতে প্রেমিক ফিরোজ বিরুদ্ধে মিছিল করেন।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন , লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে ফিরোজের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাদের কে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব নুরুল হক নয়ন
✆ ০৯৬৩৮-৯০৭৬৩৬। ই মেইল: thedailydrishyapat@gmail.com
।
Copyright 2025 Pratidinerdrishyapat