নিজস্ব প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত রিকশা চালক লেবু শেখের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে। রবিবার (২ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ডুমরাই গ্রামের কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়। নিহত রিকশা চালক লেবু শেখ ছিলেন চান্দাইকোনা ইউনিয়নের যুবদল নেতা ও ডুমরাই গ্রামের মৃত জয়তুল্লাহ শেখের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট সকালে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রিকশা চালক লেবু শেখ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে পারিবারিক ভাবে নিজ এলাকার কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আশুলিয়ায় গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে সুরতহালসহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই বেশ কয়েকজনের লাশ দাফন করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের স্বজনরা থানায় ও আদালতে হত্যা মামলা করেছেন।মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ থানারভারপ্রাপ্তকর্মকর্ত(ওসি)আসাদুজ্জামান।
লাশ উত্তোলনের সময় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আ.ফ.ম ওবায়দুল ইসলাম, আশুলিয়া থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইদ্রিস আলী ও রায়গঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া মেনে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লেবু শেখের পরিবারের সদস্যরা লাশ উত্তোলনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, লেবুর মৃত্যু নিয়ে যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে লেবু শেখের লাশ উত্তোলনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।