মো শরিফুল আলম,ঈশ্বরগঞ্জ ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো. মামুন মিয়া (৩৫) নামক এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃ-পাঁচাশী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আহত মো. মামুন নিয়া বৃ-পাঁচাশী গ্রামের মৃত আঃ হেলিমের পুত্র। এই ঘটনায় আহতের ভাই মোঃ বাবুল মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে ১। মো. শফিক মেম্বার (৪৫) ২। মো. মাসুদ মিয়া (২৮), ৩। মো. হলুদ মিয়া (৪২), ৪। মো. হাফিজুল (৫৫), ৫। মো. বাবুল মিয়া (৪৫), ৬। মো. মোশারফ (২২) ও ৭। মো. রুমান মিয়া (৩৩)গণকে আসামী করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃ-পাঁচাশী মৌজায় অবস্থিত একটি জমিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বাদী ও আসামীপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও পাল্টাপাল্টি মামলা-মোকদ্দমা চলমান ছিলো।
গত ২০/০৩/২০২৫ ইং তারিখে আসামীগণ উক্ত জমি জোরপূর্বক দখল করার উদ্দেশ্যে মাটি ভরাটের কাজ করে। অতঃপর বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল আনুমানিক ০৯.৩০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামীগণ দলবদ্ধভাবে দা, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। এই ঘটনা দেখে বাদীর ছোট ভাই মোঃ মামুন মিয়া (৩৫) তাদের বাধা প্রদান করলে ১নং আসামী মোঃ শফিক মেম্বার-এর হুকুমে ২নং বিবাদী মোঃ মাসুদ মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর ছোট ভাইয়ের দেহের ডান পার্শ্বে সজোরে কোপ দিয়ে মারাত্মক জখম করে। অন্যান্য আসামীগণ তাদের হাতে থাকা অস্ত্রাদি দিয়া উক্ত ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি জখম করে। ভাইকে উদ্ধার করার জন্য বাদী নিজে এগিয়ে গেলে আসামীগণ তাকেও এলোপাথাড়ি মারপিট করে আহত করে বলে অভিযোগে দাবী করা হয়।
অতঃপর প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাঁদের উদ্ধার করে ভিকটিম মোঃ মামুন মিয়াকে চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “এই ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”