মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গঞ্জ:
ইফতার পবিত্র রমজানের অতিগুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। ইফতার অর্থ উপবাস ভঞ্জন করা। ভোর থেকে সারা দিন ‘সাওম’ পালন শেষে রোজাদার সূর্যাস্তের পর প্রথম যে পানাহারের মাধ্যমে উপবাস ভঞ্জন করেন, তাকে ‘ইফতার’ বলা হয়। আল্লাহ তাআলার নির্দেশ, ‘তোমরা সন্ধ্যা (সূর্যাস্ত) পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ করো।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)
যে খাদ্য ও পানীয় দ্বারা ইফতার করা হয়, তা হলো ‘ইফতারি’। ইফতারের পূর্বেই ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করা এবং যথাসময়ে ইফতার করা সুন্নত। ইফতারি সামনে নিয়ে দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি খুশি—একটি ইফতারের সময়, অপরটি আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।’ (মুসলিম)।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজানের রোজা। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধায় সবাই মিলে এক সাথে ইফতার করার মজাটাই যেনো এক অন্য রকম।
পবিত্র রমজান মাসে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জমে উঠেছে অলি-গলির ইফতারের বাজার। বিশেষ করে উন্নত মানের হোটেল গুলোতে। আর এই কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এক ধরনের উৎসবের আমেজ। ইফতারের জন্য বিক্রি করা হচ্ছে, নেমকি, বুন্দে, ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি, মাঠা, গোল সহ বিভিন্ন ধরনের ইফতারের সম্ভার।
গতকাল উপজেলার চান্দাইকোনা, রায়গঞ্জ, ভূঁইয়াগিতী,নিমগাছী, ব্রহ্মগাছা, বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গ্রাম-পাড়া, মহল্লা সহ বিভিন্ন হাট-বাজারের অলি-গলি ও ফুটপাতের দোকান গুলোতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এবার বেশির ভাগ মানুষ বাসায় তৈরি ইফতারে সবচাইতে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তারপরেও ভিরের কমতি নেই উপজেলার অলি-গলির দোকানগুলোতে। ধানগরা গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, রোজার আগের দিন সাধ্য অনুযায়ী ইফতার সামগ্রী কিনে রাখা হয়েছে। বাসায় বানিয়ে পরিবারের সবাই মিলে এক সাথে ইফতার করা হবে। তাছাড়া বাসায় বানানো খাবারই বেশি খাওয়া হয়।
এদিকে উপজেলার গ্রামপাঙ্গাসী গ্রামের রোজাদার আনিস জানান, বাড়িতে ইফতার বানানো খরচ ও ঝামেলা বেশি বলে, বাজার থেকে ইফতার সামগ্রী কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে ভাজা-পোড়াই বেশি পছন্দ করছেন উপজেলার বেশির ভাগ মানুষ। এদিকে ইফতারে ভাজাপোড়া বেশি না খেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ।