দৃশ্যপট ডেস্ক:
গতকাল সোমবার(১৪ এপ্রিল) বিকালে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ক্ষীরতলা কমল খাঁ দীঘির পাড়ে আয়োজিত চড়কপূজা দেখতে যাওয়ার পথে দেখা হলো, একজনের হাতে বসে একটি শঙ্খচিল পাখি।
জানা গেল, উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামের অভিরূপ কুমার মাহাতো অনিক প্রায় আড়াই মাস আগে বাড়ির পাশে তালগাছ থেকে ঝড়ে পড়া তিনটি শঙ্খচিলের ছানা কুড়িয়ে পান। তিনি উপজেলার সরকারি বেগম নূরুণনাহার তর্কবাগীশ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। কলিয়া গ্রামের কৃষক বিমল কুমার মাহাতো ও অরুণা রানী মাহাতো দম্পতির বড় ছেলে অভিরূপ।
অভিরূপ জানান, কুড়িয়ে পাওয়ার পর বাড়িতে আনি শঙ্খ চিলের তিনটি ছানাকে। আদর যত্ন পেয়ে তারাও আমার পোষ মেনেছে। তার কাছে এখন দুইটি শঙ্খ চিল পাখি রয়েছে। বাকিটা এক বন্ধুকে উপহার দিয়েছেন।
অভিরূপ বলেন, খাওয়ানো থেকে শুরু করে স্নান করানো, পরিস্কার রাখা, খাঁচা পরিপাটি রাখা সব কাজ তিনিই করেন। শঙ্খ চিল দুটো এমন ভক্ত হয়েছে যে, তিনি যেখানেই যান তার সাথে সাথে তারাও যায়। তবে নিরাপত্তার কথা ভেবে কখনোই দুটো শঙ্খচিল পাখি নিয়ে তিনি বের হন না।
খাবার হিসেবে তারা মাছ ও মাংস পছন্দ করে। সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের এসব খাবার যোগান দেন তিনি। বাবা- মা প্রথম দিকে বিরক্ত হলেও পোষ মেনে যাওয়ায় তাদের এখন পরিবারের অংশ মনে করেন বলে জানান তিনি।
এ সময় শঙ্খচিলটাকে দেখতে ভিড় জমান অনেকে। তাদের একজন মাহাতোদের কুড়মালি ভাষার লেখক উজ্জ্বল কুমার মাহাতো বলেন, নানা ধরনের পাখি মানুষের পোষ মানে শুনেছি। কিন্তু আজ দেখলাম শঙ্খচিলও মানুষের পোষ মানে।