নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) ও তাড়াশ থানার পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে তা প্রত্যাহার করে নিলেন সিদ্দিকুর রহমান নামে এক ব্যক্তি।
রোববার (২৩ মার্চ) সকালে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। বিকেলেই অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেন। সিদ্দিকুর রহমান তাড়াশ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত সবের আলীর ছেলে। অবৈধভাবে পুকুর খনন করায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
অভিযোগ প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার সাথে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, এ কারণে এই অভিযোগটা করেছিলাম। আমার ছেলে মেডিকেলের ছাত্র, তার পরামর্শেই অভিযোগটা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এ বিষয়ে অন্য কোন চাপ নেই বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর করা লিখিত অভিযোগে সিদ্দিকুর রহমান উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী। এ বছরই প্রথম কয়েক জমির মালিকের সাথে চুক্তি করে পুকুর খনন শুরু করেন। তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল কাদের ও সহকারি পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) অমৃত সূত্রধর পুকুরের মাটি খননের ভেকু মেশিনের ব্যাটারি ও হাইড্রোলিক খুলে নেওয়া এবং গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ৪৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। তাড়াশ থানায় খনন করা সবগুলো পুকুর থেকে তারা এভাবেই টাকা নেন। তিনি ঘুষের টাকা ফেরতের দাবী জানান।
তাড়াশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল কাদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা পুকুর খননের বিরুদ্ধে দফায় দফায় অভিযান চালাচ্ছি। আমাদের অভিযান ঠেকাতে পুকুর খননকারিরা একজোট হয়ে ঘুষ নেওয়ার এমন মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সহকারি পুলিশ সুপার (উল্লাপাড়া সার্কেল) অমৃত সূত্রধর বলেন, তাড়াশে পুকুর খননের বিষয়টি আপনারা সবাই জানেন। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইনে ১২টি মামলা রজু হয়েছে। ইউএনওর সাথে সমন্বয় করে অনেকগুলো মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও পুকুর খনন থামছে না। পুকুর খননের সংবাদ পেলেই আমরা বন্ধ করার জন্য অফিসারদের বলি।
খালকুলার ঐদিকে সিদ্দিকুরের একটি পয়েন্ট ছিল, আমি গিয়েছিলাম, বন্ধ করে দিয়ে এসেছি। হয়তো কেউ পরামর্শ দিয়েছে, পুলিশ প্রবলেম করতে থাকলে পুকুর কাটা বন্ধ হয়ে যাবে। একটি অভিযোগ দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নিউজ করে ভাইরাল করলে পুলিশ ভয় পাবে। এ উদ্দেশ্যে থেকেই এমন মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়টি আমি জানিনা।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলামকে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।