দৃশ্যপট ডেস্ক রিপোর্ট:
এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থগিত হওয়া সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি পূণর্বহালের দাবিতে শহরের সব রুট অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশন এলাকায় নিউ ঢাকার রোড, এসএস রোড, পৌরসভা রোড, এমএ মতিন সড়কসহ সব রুট বন্ধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন রাস্তায় বেঞ্চ ফেলে বসে পড়ে বিক্ষোভ করেন।
শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, চাঁদাবাজের ঠাই নাই’; ‘চাঁদাবাজদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’; ‘চাঁদাবাজদের আস্তানা, এই বাঙলায় হবে না’; ‘বহাল বহাল বহাল চাই, আগের কমিটি বহাল চাই’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে। রাত ১১টা পর্যন্ত তারা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে ফিরে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা স্থগিত কমিটি পূর্ণবহালে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, তা না হলে বিকেল থেকে সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল গোলচত্বরে মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।
বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলার স্থগিত কমিটির আহ্বায়ক সজিব সরকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আসির ইন্তেসার অয়ন, সিনিয়র মুখ্য সংগঠক যুবায়ের-আল ইসলাম সেজান, মুখপাত্র টিএম মুশফিক সাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সদর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা রাত ১১টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে চলে গেছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক জরুরী নোটিশে কমিটি স্থগিত করা হয়। কমিটি স্থগিতের পর পর রাত ৯টার দিকে শহরে আনন্দ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর করা পত্রে ২৮৪ সদস্য বিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হোসেন রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়।
কমিটি অনুমোনের পরদিন রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) একযোগে ৫০ এরও বেশি শিক্ষার্থী ওই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। তারা এটিকে পকেট কমিটি উল্লেখ করে বিলুপ্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে। সর্বশেষ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এক পর্যায়ে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলসড়কে দুটি ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাত সোয়া ৮টার দিকে কমিটি স্থগিত করা হলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আলহাজ্ব নুরুল হক নয়ন
✆ ০৯৬৩৮-৯০৭৬৩৬। ই মেইল: thedailydrishyapat@gmail.com
।
Copyright 2025 Pratidinerdrishyapat