
মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি:
ভাঙ্গন আর নিঃস হওয়ার গল্প গুলো নদী এলাকার মানুষের জন্য এক দীর্ঘশ্বাস। গাইবান্ধায় প্রতিবছর বন্যায় চরাঞ্চলসহ মূল তীরবর্তী স্থানগুলোতে ভাঙ্গন লক্ষ করা যায়। এতে করে প্রতিবছর নিঃস হওয়ার গল্প গুলো শুনে যে কারও বুক আঁতকে ওঠার মতো। এই অঞ্চলের ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে সব সময় সেবা দিয়ে আসছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড। সরকারি এই দপ্তরের কর্মকর্তারা দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যেখানেই ভাঙ্গনের খবর পায় তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা ভাঙ্গন ঠেকাতে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকেন।
সম্প্রতি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ফুল মিয়ার বাজার সংলগ্ন প্রায় পৌনে ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়।
এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের নজরে আসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে একটি মানববন্ধন করেন। খবর পেয়ে দ্রুত এই ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে ছুটে চলে যান গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক। পরে তিনি ভাঙ্গন ঠেকাতে পদক্ষেপ নিবেন বলে এলাকাবাসীকে আশ্বাস দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে অস্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজের আওতায় জিও টিউব ৩৩৫ টি, জিও ব্যাগ ২৮৮৪টি ভাঙ্গনের স্থানগুলোতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ফেলানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল কর্মকর্তা অনেক আন্তরিকতার সাথে কাজের মান ও সুপরিকল্পিতভাবে অনেকাংশে ভাঙ্গনরোধ করেছে। আমরা চাই এখানকার মানুষের জন্য দীর্ঘমেয়াদি একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হোক। কামারজানি, হরিপুর এলাকায় ব্লকের মাধ্যমে যে সুন্দর কাজ করা হয়েছে। এই ফুলমিয়ার বাজারে বাসিন্দাদের বাস্তুভিটার অস্তিত্ব রক্ষার্থে পাউবো গাইবান্ধা সুনজর দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ডিসেম্বরের শেষে পানি নেমে যাওয়ার কারণে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ইতোমধ্যে আমরা জিও ব্যাগ,জিও টিউব ডাম্পিং এর মাধ্যমে ভাঙ্গনরোধের চেষ্টা করছি। ভাঙ্গনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৮০০ মিটার হওয়ায় বরাদ্দের প্রস্তাব বোর্ডে পাঠিয়েছি। যতটা সম্ভব গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে সর্বোচ্চ কাজ করে থাকে।