সলঙ্গা সংবাদদাতা:
মাটির স্পর্শ ছাড়াই কোকোডাস্ট পদ্ধতিতে উৎপাদিত হচ্ছে শাক-সবজি, ফল-ফুলসহ বিভিন্ন ফসলের চারা। এই পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন করে সাড়া ফেলেছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার দওকুশা গ্রামের এরশাদুল। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট প্রকল্পের আওতায় মানব মুক্তি সংস্থা(এমএমএস) এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে কোকোডাস্ট মিডিয়া ব্যবহার করে ট্রেতে চারা উৎপাদন।
সলঙ্গা থানার নলকা ইউনিয়নের দত্তকুশা গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী এরশাদুল ইসলাম তার নার্সারিতে শুরু থেকে কোকোডাস্ট মিডিয়া ব্যবহার করে ট্রেতে সবজির চারা উৎপাদন করেন। তিনি এ পযন্ত ১০ হাজার বেগুন ও মরিচের চারা উৎপাদন করে বিক্রি করেছেন যা রবি মৌসুমে আরও বৃদ্ধি পাবে। তাকে এ বিষয়ে সার্বিক প্রশিক্ষন ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে মানব মুক্তি সংস্থা(এমএমএস)। সংস্থার সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,কোকোডাস্টে সবজির চারা সুস্থ, রোগমুক্ত ও অধিক জীবনীশক্তিসম্পন্ন হয়। অঙ্কুরোধগম ক্ষমতা বেশি হয়,চারার মৃত্যু হার কম হওয়ায় বীজের পরিমাণ কম লাগে,চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়,চারার জন্য বীজতলায় অতিবাহিত সময়ের সাশ্রয় হয়। এছাড়া বন্যাপ্রবণ বা লবণাক্ত এলাকায় মাটি ছাড়া মানসম্মত চারা উৎপাদন সম্ভব হয়। রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষিকর্মকর্তা আব্দুররউফ বলেন,কোকোডাস্টের চারা জমিতে লাগাইনো হইলে বীজ গজানো হার বেশী। অল্প সময়ে চারা মুল জমিতে লাগানো উপযোগী হয়। মাটি ছাড়াই চারা উৎপাদন করা সম্ভব,বিশেষ করে লবণাক্ত এলাকার জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী। কোকোডাস্ট পদ্ধতিটি রায়গঞ্জে নতুন হওয়ায় কৃষকের মাঝে এই বিষয় নিয়ে মত বিনিময় এবং উপযোগীতে যাছাই চলছে।