দৃশ্যপট প্রতিবেদক :
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে থানায় ঢুকে, বিশৃংখলা সৃষ্টি, গালমন্দ ও সরকারি কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলাকে মিথ্যা দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম সরকার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি গুজব ছড়িয়ে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ করেন। পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের বিরুদ্ধে কলো টাকা ছড়ানোর অভিযোগও করেন তিনি।
রোববার (৫ মে) দুপুরে বেলকুচি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের এসব অভিযোগ করেন তিনি। তবে তার অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। থানায় তার সমর্থকদের বিশৃংখলা সৃষ্টির ভিডিও গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও পুলিশের দায়ের করা মামলাকে কিভাবে মিথ্যা বলে দাবী করেন প্রশ্ন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মন্ডলের শিল্প প্রতিষ্ঠান মন্ডল গ্রুপের ম্যানেজার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে প্রভাব বিস্তার ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠে আসছিল। সম্প্রতি থানায় ঢুকে মোটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের উপর হামলা ও থানা চত্বরে বিশৃংখলা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আমিনুল বলেন, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রতীকের বাইরে ভোট দিলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়াও বদিউজ্জামান ফকির নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে নির্বাচনে কালো টাকা ছড়াচ্ছেন।
প্রায় এক ট্রাক ভর্তি টাকা তারা বেলকুচিতে নিয়ে এসেছে। ভোট কিনতে ও নানা প্রলোভন দিয়ে তারা ভোটারদেরকে ভোটের বিভ্রান্ত করছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বদিউজ্জামান ফকির বলেন, আমার বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়ানোর মিথ্যা অভিযোগ করেছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি নিজেই কালো টাকা ছড়াচ্ছেন। কালো টাকা ও পেশীশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, মিডিয়ার কল্যানে সারাদেশবাসী জানে থানায় ঢুকে প্রার্থী আমিনুল ইসলাম নিজে ও তার সমর্থকরা আমার উপর হামলা চালিয়েছে। বিশৃংখলা সৃষ্টি ও গালমন্দ করেছে। পুলিশের দায়ের করা সেই মামলাকে মিথ্যা বলে সংবাদ সম্মেলন করলেই ঘটনা মিথ্যা হয়ে যায় না। জনগণ বোঝে। ইতিমধ্যে তাকে শোকজ করা হয়েছে, তদন্তও চলছে। এসব ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি ফেরাতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছেন আমিনুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান বলেন, থানায় বিশৃংখলা সৃষ্টির ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। এটাকে যদি কেউ মিথ্যা বলে দাবী করে সেটা নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে রিপোর্ট দাখিল করবো।