পি. কে রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ঢুকতেই সবার চোখ আটকে যায় বঙ্গবন্ধু কর্নারটিতে। কক্ষটির শেলফে শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেকগুলো বই।
সেখানে একটি বাক্য লেখা আছে “দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি বঙ্গে, এইখানে কিছুক্ষণ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে”।
ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা মানুষজন সেখানে থমকে দাঁড়িয়ে প্রবেশ করেন কর্নারটিতে। যারা অপেক্ষা করেন, তারা বই নিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। কেউ বা মোবাইলে সেখানকার সুন্দর দৃশ্যগুলো ধারণ করেন।
সেখানকার সিএইচসিপি মো: ফরহাদ হোসেন জানায়, “বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বই-পুস্তক, ছবি, লেখা ও প্রামাণ্যচিত্র স্থান পেয়েছে কর্নারে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা প্রায় ৯৬টি বই রয়েছে সেখানে, যেগুলো বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্মসহ দেশের সুস্পষ্ট ইতিহাস পাঠককে তথ্য দিতে যেন অপেক্ষা করছে। রয়েছে বঙ্গবন্ধু সংশ্লিষ্ট তিনটি ছবির অ্যালবাম, যাতে পাওয়া যায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিময় অনেক ছবি”।
এই প্রথম কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্নারটি তৈরি করার উদ্যোগ মো: ফরহাদ হোসেন এর। কমিউনিটি ক্লিনিকে করা বঙ্গবন্ধু কর্নার দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু কর্নার বলেও জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা এ দেশে অগণিত। আবার মুজিব পাগল লাখো কোটি বঙ্গবন্ধু প্রেমির মতো এমন কিছু মানুষ আছেন যারা সেই সাধারণের কাতারে থেকেই অসাধারণ ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী এদের কেউ কেউ কাব্যমনা, শিল্পমনা, ভাবুক আবার কেউবা থাকেন স্বপ্নচায়ী। নিজের অজান্তেই ওরা জগতের অনেক কিছুই নিয়ে ভাবেন, স্বপ্ন দেখেন। এমনকি কল্পনায় আকাশ ভ্রমণ করেন অনেকে। আমার এ প্রতিবেদন যাকে নিয়ে তিনি হলেন একজন সৎ কর্মট, সদালাপী, সদা হাস্যোজ্জ্বল একজন সিএইচসিপি ব্যক্তিত্ব, আমাদের চিরিরবন্দরের কৃতি সন্তান, স্বাস্থ্য বিভাগের দোড়গডায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার কারিগর। তিনি বঙ্গবন্ধু, তার কর্ম ও আদর্শকে মনের মধ্যে লালন করেন, ও প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন বলেই তাকে নিয়ে নিজেস্ব উদ্ভাবণী চিন্তার প্রতিফলন ঘঠিয়েছেন।
এ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সম্পূর্ণ নতুন এক আবিষ্কার যা আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে। জাতির পিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা থেকে ফরহাদ নিজ প্রচেষ্টায় উদ্ভাবন করলেন ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’।
মো: ফরহাদ হোসেন সিএইচসিপি বলেন, “আমার স্বপ্ন আমার কল্পনা থেকেই আমি ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ করেছি, আজ সরকার দেশব্যাপী আমার এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুকে জানতে হলে আগে দেশ ও জাতির বিষয়ে জানতে হবে। আর জানতে হলে বই পড়তে হবে। আজকের তরুণ প্রজন্মকে আরো বেশি বেশি করে বই পড়তে হবে। ইতিহাস জানতে হবে, বঙ্গবন্ধু কে তা বুঝতে হবে। বঙ্গবন্ধু কর্নার সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানপিপাসুদের ও বঙ্গবন্ধু প্রেমিদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।