নিজস্ব দৃশ্যপট প্রতিবেদক:
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪র্থ ধাপে রায়গঞ্জ পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও রায়গঞ্জ ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গোলাম হোসেন শুভন সরকার। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৭০ হাজার ৮৪২, তিনি প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন ইমন তালুকদার দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ১৭ হাজার ৮০৫ ভোট। চেয়ারম্যান পদে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাদী আল মাজি জিন্নাহ মটর সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৬৯ ভোট । উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি আমিনুল ইসলাম সিহাব আনারস প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৭৩৭ ভোট। ভিপি আমিনুল ইসলাম সিহাব নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন উড়ো জাহাজ প্রতীকের প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মাইকেল, তিনি ৩৪ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন, তিনি উপজেলা যুব লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের সাবেক ছাত্রনেতা এ জি এস আব্দুর রউফ সরকার পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৯০ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন পেয়েছেন ২০ হাজার ৯১১ ভোট, টিউবওয়েল প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম বাচ্চু পেয়েছেন ৭ হাজার ৭৪৬ ভোট এবং চশমা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফরহাদ আলী পেয়েছেন ৬ হাজার ১১৫ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মোছা: পরি খাতুন ২৫ হাজার ৭৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিনা হক লুৎফা পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৩৯ ভোট। এছাড়াও কলস প্রতীকের প্রার্থী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অন্যন্যা সাথী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩৩২ ভোট, এবং নিস্কৃতি দাস হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৭২২ ভোট।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ( ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্ৰহণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৮৪০ জন।