আমিরুল ইসলাম, কামারখন্দ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত বিনামূল্যে দুঃস্থ গরিব অসহায়দের মাঝে ভিজিএফের কার্ডের মাধ্যমে ১০কেজি করে চাল বিতরণে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বেলা বারোটায় উপজেলার ৪নং রায়দৌলতপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। এসময় সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যগণ। এরপর চাল বিতরণ কার্যক্রম শেষ না করেই বেলা বারোটার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ত্যাগ করেন সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সবুজ আলী।
রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আজহায় দুঃস্থ গরিব অসহায়দের বিনামূল্যে বিতরণের জন্য দুই হাজার চারশত বিরানব্বই জনকে ১০ কেজি করে চালের কার্ড প্রদান করা হয়। যা ১২-১৩ জুন অত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এই কার্ডের মাধ্যমে চাল প্রদান করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশত কার্ডধারী চাল না পেয়ে হতাশ হয়ে বসে রয়েছেন। তাদের মধ্যে চাল না পেয়ে ফিরে যাওয়া বেশিরভাগ কার্ডধারী ২নং ওয়ার্ডের। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের কাছে এসমস্যা কেন হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোনো অনিয়ম করি নাই। আমি সব কার্ডধারীকে চাল দিয়ে দিয়েছি এই বলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে চলে যান।
ভুক্তভোগী কার্ডধারী মকবুল হোসেন বলেন, আমি গতকালও চাউলের জন্য এসেছিলাম মেম্বার বলেছেন আজকে দেবেন। আজকেও আমি সারাদিন কামা কামাই দিয়ে আসলাম এসে দেখি অফিস বন্ধ। মেম্বারকে কল দিলাম সে বলল চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে। চেয়ারম্যানের কাছে গেলাম চেয়ারম্যান আমায় ধমক দিয়ে মেম্বারের কাছে গিয়ে চাল নিতে বলে।
ভুক্তভোগী কার্ডধারী মর্জিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ অবস্থায় রেখে এখানে এসেছি চালের জন্য। কিন্তু এরা আমাকে এতক্ষন বসিয়ে রেখে এখন বলে যে চাল দেবে না।
অনিয়মের বিষয়ে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ বলেন, আমি বরাদ্দকৃত আমার ভাগের চাল সকল ইউপি সদস্যের মাঝে সুষ্ঠুভাবে ভাগ করে দিয়েছি। তারা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের দুঃস্থ গরিব অসহায়দের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য চালের কার্ড দিয়ে চাল প্রদান করবেন। ২নং ইউপি সদস্যের ব্যাপারে তিনি বলেন সফিকুল ইসলাম আমার গ্রামের ছেলে। তবে তাকে কার্ডধারীদের চাল দিয়ে দিতে বলেছি। এছাড়াও তিনি ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম, মমিন তালুকদার, লাভলী খাতুন এবং হায়দার আলীকে ফোন করে চাল দিয়ে দিতে বলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছি যারা চাল পাইনি কার্ডধারীরা তাদেরকে চাল বিতরণের জন্য।