শাহ আলী জয়, নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক সময়ের নানা অনিয়মের বিতর্কিত কমিশন বাণিজ্যের হোতা সেই পিআইও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ভূইয়া আবারও বদলি হয়ে উল্লাপাড়ায় আসার পাঁয়তারা করছে বলে বিভিন্ন মহলে গুনজন উঠেছে। সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের একান্ত আস্থাভাজন হওয়ায় দিনকে রাত, রাতকে দিন করেছেন উল্লাপাড়া উপজেলায় কর্মকালিন সময়ে। তিনি উপর মহলকে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে বিগত ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা দীর্ঘ ৯ বছর উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার (পিআইও) হিসেবে কর্মরত থাকা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ভূইয়া পুনরায় বিভিন্ন মাধ্যম ধরে উল্লাপাড়ায় বদলী হয়ে আসার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। টানা দীর্ঘ ৯ বছর একই উপজেলায় পিআইও হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে স্থানীয় কিছু মুষ্ঠিমেয় রাজনৈতিক নেতাকমীর্দের অনৈতিক সুবিধা প্রদান পূর্বক একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে টাকা লুটপাট করেছেন বলে বিভিন্ন মহলে গুনজন রয়েছে। টানা ৯ বছর একই কর্মস্থলে থাকার পর ২০২১ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ন্যায় ও বিধি সংগত চাকুরী বিধিমালা অবজ্ঞা, উপেক্ষা করে নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি লেখা পোষ্ট করায় সংশ্লিষ্ট দূযোর্গ ব্যাবস্থাপনা অধিদপ্তর তথা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় ১৯/০১/২০২১ সালে পিআইও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ভূইয়াকে বগুড়া শাহজানপুর উপজেলায় বদলী করা হয়। এ সময় বদলী ঠেকাতে স্থানীয় এমপির সহযোগিতায় উর্ধতন মহলে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করলেও শেষঅব্দি বদলী ঠেকাতে পারেননি। এছাড়াও বিগত ২০২০ সালে প্রায় ১৩ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে রাষ্ট্রীয় আইওটি রেডিও ডিভাইস ব্যাবহার ও জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতিমালা অক্টোবর ২০১৮ উপেক্ষা করে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, এমপির পিএস সহ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের অনুকুলে ব্যাপক দূণীর্তির মাধ্যমে ২৬টি ওয়াকিটকি ক্রয় করা হয়। পরবতীর্তে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের লাগাতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ওয়াকিটকি কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে সরকারি কোষাগারের টাকা দিয়ে ড্রোন কিনে নিজের ভিডিও করে ফেসবুকে প্রচারনায় ব্যস্ত থাকায় সাধারন মানুষের মাঝে বেশ সমালোচনায় পড়েন এই কর্মকর্তা । সাধারন মানুষ বলছে উল্লাপাড়ায় মধু পেয়েছে তাই বদলি হয়ে বার বার আসার চেষ্টা করছে পিআইও মাহাবুবুর রহমান । আবার কিছু মুষ্ঠিমেয় রাজনৈতিক নেতা অনৈতিক সুবিধা নিতে তারাও সহযোগীতা করছে তাকে এই উপজেলায় নিয়ে আসার ব্যাপারে যেন উভয়ই কমিশনে বাণিজ্য করে লাভবান হতে পারে। বিতর্কিত এই কর্মকর্তা যেন আর এ উপজেলায় আসতে না পারে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী স্থানীয় সুশিল সমাজের । অন্যদিকে বিভিন্ন মহলের দাবী এই বিতর্কিত কর্মকর্তা অবৈধ ভাবে কোথায় কোথায় সহায় সম্পত্তি ও টাকাপয়সা জমিয়েছেন তা খোঁজ খবর নেওয়া হোক ।