নওগাঁ প্রতিনিধি:
মাদক ও অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত সাথী আক্তার ও তার স্বামী রতন হোসেনের বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে নওগাঁ পৌরশহর এলাকার সচেতন বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ সাথী এলাকায় করেন দেহব্যবসা, আর তার স্বামী করেন মাদক ব্যবসা। তারা বসবাস করেন আরজি-নওগাঁ লাটাপাড়া এলাকায়। আর তাদের হাত থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। তাই বাধ্য হয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন অত্র এলাকার সচেতনরা। বৃহস্পতিবার ১১জুলাই দুপুর ১২টা থেকে ঘন্টাব্যাপী চলা এই মানববন্ধনে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ বিচারের আশায় উপস্থিত ছিলেন। তাদের হাতে ছিল মাদক ব্যবসা, দেহব্যবসার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যানার ফেস্টুন।
এলাকাবাসীর পক্ষে সভাপতিত্ব করেন রিপন শেখ। সেখানে আগুন ঝড়া বক্তব্য রাখেন মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক তাসলিমা খাতুন। তিনি বলেন, একটি সমাজ মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে ধ্বংস হতে পারে। আর এই দুটি কারণ সাথী আক্তার ও তার স্বামী রতন হোসেনের মধ্যে আছে। তাই পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের কাছে অনুরোধ ওই দুই স্বামী-স্ত্রীর হাত থেকে আমাদের যুবসমাজ তথা এলাকাবাসীকে এখনই রক্ষা করা প্রয়োজন। এসময় নারীদের মধ্যে জুঁই, আকাশী, কল্পনা, মেহেরুন ময়নাসহ অনেকে উপস্থিত থেকে তাকে উৎসাহ প্রদান করেন।
তার মতো বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় দুলাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম টুকু, সজীব হোসেন, বেদারুল ইসলাম টিটু, মাসুদুর রহমানসহ অনেকে। তারা একযোগে তাদের বিচার চেয়ে বলেন, সাথী ও তার স্বামী যদি এলাকাতে থাকে, তাহলে এই এলাকার সুনাম নষ্ট হতে আর বেশি দিন লাগবেনা। একসময় এই এলাকা ভালো ছিল। কিন্তু তারা স্বামী-স্ত্রী আসার পর শুরু হয় মাদক সেবীদের আনাগোনা। প্রকাশ্যে বিক্রি করতে থাকে মাদক। এছাড়া আমরা জানতে পারি তাদের বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ (দেহব্যবসা) হয়। প্রতিনিয়ত রাতে ও দিনে ক্ষমতাশীল দলের ছেলেদের আনাগোনা। তাদের এমন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী কিছু বলতে গেলে মানহানির ভয় দেখায়। ফলে তাদের ভয়ে এলাকাবাসী কিছু বলতে পারেনা। আর তারা এসব অবৈধ কর্মকান্ড করে চলাফেরা করে রাজকীয় স্টাইলে। তাদের নিজস্ব তেমন কোনো আয়ের উৎস নেই। অথচ থাকে এসি ঘরে। করেছে চোখ ধাঁধানো বাড়ি।
জানার জন্য সাথীর মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে আবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের বাড়িতে খোঁজ নিলে স্বামী- স্ত্রী কেই নেই বলে জানা যায়।
জানতে চাইলে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান (প্রশাসন ও অর্থ) বলেন, যেকোনো অপরাধ ও অন্যায়মূলক কাজের সাথে পুলিশের কোনো আপোষ নেই। তারা যদি মাদক বা অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স আছে। তাই এখনই খোঁজ নিচ্ছি এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।