কামারখন্দ প্রতিনিধি:
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে দুপুর সাড়ে বারোটায় অফিসে গেলেন উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা সবুজ আলী। আবার এই সময়ে অফিসে আসলেন জিজ্ঞেস করলে সমাজসেবা কর্মকর্তা সবুজ আলী বলেন, আপনাদের ইচ্ছে হলে আপনারা পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করেন গিয়ে।
সরেজমিনে (১১ আগষ্ট) বেলা বারোটায় উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় গেলে দেখা যায়, অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী অফিসে আছেন। একমাত্র অফিসের প্রধান কর্মকর্তা ছাড়া। উনি আসবে কিনা জানতে চাইলে অফিস থেকে জানানো হয়। স্যার এখনো আসেনি হয়তো আসবে। অফিসে সময়মতো আসার জন্য যে সাক্ষর বই থাকে সেখানে তিনি সাক্ষর করেন না। এমনকি ওনার নাম পর্যন্ত নেই। তাহলে এ কেমন বৈষম্য এখানে।
এব্যাপারে মোবাইল ফোনে সমাজসেবা কর্মকর্তা সবুজ আলী প্রথমে অফিসে আসছিলেন শিকার করে বলেন, আমি ডরমিটরিতে আছি বসেন আমার পাঁচ মিনিট লাগবে আসতে।
এরপর অফিসের সবাই বলছেন আপনি আসেননি বললে তিনি বলেন, না না হা হা অফিসে যাইনি। আমি ঢাকা থেকে আসতেছিতো। আমার ডিডি স্যার টাঙ্গাইল থেকে আসতেছিল স্যার আমাকে বলছে আপনি একটু দাঁড়ান। এরপর স্যারের সাথে গাড়ীতে আসছি। এজন্য দেরি হয়ে গেছে। আমি সকাল সাতটায় গাড়ীতে উঠেছি জ্যামের কারণে আসতে পারি নাই বলে কেটে দেন ফোনকল।
বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান সে দেড়িতে আসছে কিনা বলতে পারবোনা বলে ফোনকল কেটে দেন।
এ ব্যাপারে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা বলেন, আমি বিষয়টি দেখবো।
ছবির ক্যাপশন: কামারখন্দ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার দুপুর সাড়ে বারোটায় অফিসে যাওয়ার রবিবারের তোলা ছবি।