কাবিল উদ্দিন কাফি, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগের ৫১ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম ভোলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইটালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, আরিফুলের ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান লিখন।
১লা সেপ্টেম্বর রাতে পৃথক দুটি মামলা করেন বিএনপির দুই নেতা। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সেলিম রেজা বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি চাঁদাবাজি ও অপহরণের মামলা করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলামকে। তিনি ছাড়াও তাঁর ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান লিখনসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-২৫ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে।
মারপিট, ভাংচুর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে অপর মামলা করেন চৌগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহজাহান আলী। এ মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম ভোলাকে। ভোলা ছাড়াও ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর বিএনপির পদযাত্রা থেকে ফেরার পথে উপজেলার জামতলী-বামিহাল সড়কের ডাকাতগাড়ী এলাকায় ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে বিএনপি নেতা সেলিমের পথ আগলে দাঁড়ান আরিফুল ও আসামীরা। এসময় ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে সেলিমকে ইটালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে নিয়ে মারধর করে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে আরও ৯৯ লাখ টাকা আদায় করে।
অপর মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী বিএনপি নেতা শাহজাহানের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, ভাংচুর ও চাঁদা দাবি করে জাহেদুল ইসলাম ভোলাসহ আ.লীগের নেতাকর্মীরা।
গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম ও জাহেদুল ইসলাম ভোলা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হা-মীম তাবাসসুম প্রভা। তিনি বলেন, ইটালী ইউপির চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম ও চৌগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা পলাতক থাকায় প্যানেল চেয়ারম্যানরা দায়িত্ব পালন করছেন।
সিংড়া থানার ওসি আবুল কালাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।