রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে আন্দোলনে শহিদদের স্বরণে রংপুরে শহীদি মার্চ পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিলরংপুর প্রেসক্লাব থেকে বের হয়ে টাউন চত্তরে গিয়ে শহীদ মিনারে আলোচনা সভা করে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আনেদালন রংপুরের ছাত্র প্রতিনিধি মোতায়াক্কিল বিল্লাহ শাহ ফকিরের সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন আন্দোলনে নিহতদের স্বজনরা।নিহত আব্দুল্লাহ আল তাহিরের বাবা আব্দুর রহমান বলেন, আমার ছেলে বেঁচে থাকলে এ বছরই ইঞ্জিনিয়ার হয়েযেতো। সে টিউশনি করে নিজের খরচ চালিয়ে অষ্টম সেমিস্টার পর্যন্ত এসেছে, আর্থিক অনটনের কারণে ওকে ভালো কিছু দিতে পারি নাই। আমি চেয়েছিলাম আমার যেন শহিদী মৃত্যু হয় কিন্তু আমার আগেই আমার ছেলেইশহীদি মৃত্যু পেল।আন্দোলনে নিহত সবজি ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেনের মা ময়না বেগম বলেন, কোলে পিঠে করে সাজ্জাদকে বড়করেছি। এখনও মেনে নিতে পারছি না যে সাজ্জাদ আর পৃথিবীতে নেই। সাজ্জাদের বউ-সন্তান রয়েছে। তারা তোএখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের কে দেখবে, সাজ্জাদের ছোট্ট সন্তানটিরই বা ভবিষ্যত কি। সাজ্জাদই আমাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল পরিবারের।