সাব্বির মির্জা, তাড়াশ প্রতিবেদক:
চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নদী খালসহ আশপাশের শাখা নদীগুলোতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে নিষিদ্ধ সুতি জাল পেতে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে।
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্থানীয় একশ্রেণির অসাধু ব্যক্তি দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এবং বেশি অর্থের লোভ দেখিয়ে প্রান্তিক চাষিদের সঙ্গে নিয়ে এসব সুতি জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা বারুহাস ইউনিয়নের হেদারখাল, সগুনা ইউনিয়নের কুশাবাড়ি, মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। নদীর উভয় তীরে বাঁশ, চাটাই ও নেট জালের সাহায্যে বাঁধ দিয়ে নদীকে সংকুচিত করা হয়েছে।
নদীর স্বাভাবিক প্রবাহিত পানির গতিকে বহুগুণ বাড়িয়ে কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করে নিষিদ্ধ সুতি জাল পেতে মাছ শিকার করা হচ্ছে। তাড়াশের নদীও খালে এভাবেই চলছে অবৈধ সুতিজাল পেতে মাছ শিকারের মহোৎসব।
এতে ছোট-বড় সব ধরনের মাছসহ জলজ প্রাণী ধরা পড়ছে। ফলে তাড়াশসহ বিভিন্ন নদ-নদী, জলাশয় ও চলনবিল এলাকায় ছোট-বড় মাছসহ জলজ প্রাণী বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোবারক হোসেন জানান, এলাকার প্রান্তিক জেলেদের সঙ্গে নিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। তবে কোনো প্রভাব খাটানোর অভিযোগকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশগুল আজাদ জানান, বিষয়টি আমার জানানেই। কমসংখ্যক লোকবলের কারণে সময়মত অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে অচিরেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সুতিজাল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।