1. admin@thedailydrishyapat.com : admin :
  2. thedailydrishyapat@gmail.com : TheDaily Drishyapat : TheDaily Drishyapat
  3. info@pratidinerdrishyapat.com : Pratidiner Drishyapat : Pratidiner Drishyapat
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ

চার দিনের বৃষ্টিতে চলনবিলাঞ্চলের শুঁটকির চাতালে রাখা প্রায় আট লাখ টাকার মাছ পঁচে নষ্ট

সংবাদ প্রকাশক:
  • Update Time : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩১ Time View

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

চলনবিলাঞ্চলে গত সোমবার থেকে চার দিনের ভারী, মাঝারি ও টিপটি বৃষ্টির পানিতে প্রায় দেড় শতাধিক শুঁটকির চাতালে শুকাতে দেওয়া প্রায় আট লাখ টাকা মূল্যের শুঁটকি পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। আর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিতে শুঁটকির আড়তদার বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে।
জানা গেছে, চলনবিলাঞ্চলে শুঁটকি তৈরির চাতালে মিঠা পানির দেশিয় প্রজাতির সুস্বাদু মাছ যেমন- পুঁটি, চান্দা, ইছা (ছোট চিংড়ি), খলিশা টেংড়া, টাকি, বোয়াল, শোলসহ ১০ থেকে ১২ প্রজাতির মাছের শুটকি তৈরি করা হয়ে থাকে। যা চাহিদা অনুযায়ী সৈয়দপুর, রংপুর, নীলফামারী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর সহদেশের বিভিন্ন শহরে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন শুটকি তৈরির আড়তদার বা ব্যবসায়ীরা। আর গত চার দিনের বৃষ্টিতে চাতালে রোদে শুকানোর জন্য ছড়িয়ে রাখা দেড় শতাধিক চাতালে গড়ে প্রায় আট লাখ টাকার শুঁটকির মাছ বৃষ্টির কারণে পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। আধা শুকনা মাছ গুলো দ্রæত চাতাল থেকে তুলে নেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ অবশ্য গত বছরের চেয়ে কম হয়েছে আড়তদারদের। তারপরও চলনবিলাঞ্চলের চাতালে শুঁটকির জন্য শুকাতে দেওয়া মাছ পঁচে যাই বা ক্ষতি হয়েছে এটাও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের জন্য খুব কম না।
এ দিকে শনিবার সকাল থেকে একটু রোদের দেখা মেলায় শুঁটকি ব্যবসায়ীরা নতুন করে মাছ কিনে শুঁটকি চাতাল গুলোতে শুঁটকি তৈরির র কাজ ফের শুরু করেছেন বলে জানান, মহিষলুট এলাকার শুঁটকির আড়তদার মো. দেলবার হোসেন, নানু মিয়া, আবু বক্কার সিদ্দিক। তাঁরা আরো জানান, গত চার দিনের থেমে থেমে ভারি, মাঝারি ও টিপটিপানি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশিয় মাছের শুটকি তৈরির ভরা মৌসুমে চলনবিলের নয় উপজেলার এলাকার বিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শুঁটকি আড়তদার বা ব্যবসায়ীদের বাশেঁর বাতা ও খুঁটি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ভাবে স্থাপনা করা শুঁটকির চাতালে শুকানোর জন্য ছড়িয়ে রাখা নানা প্রজাতির বেশির ভাগ মাছ পঁচে গেছে।
তাড়াশ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, গত চার দিন চলনবিলাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গতকাল শুক্রবারও ৬০ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশগুল আজাদ বলেন, বৃষ্টির কারণে শুঁটকির চাতালে শুকাতে দেওয়া কিছু পরিমান মাছ পঁচে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি নিরুপনে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি তাদের জন্য কি করা যায় সে বিষয়টিও উদ্বোর্ত্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
প্রতিদিনের দৃশ্যপট ২০২৪
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com