তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপরিকল্পিত ভাবে অবৈধ পুকুর খননে সৃষ্ঠ জলাবদ্ধতায় প্রায় তিন হাজার বিঘা ফসলী জমি পানিতে তলিয়ে থাকায় নিরসনে দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
পরে পুকুর খনন বন্ধে, জমি ও বাড়িঘর জলাবদ্ধতা নিরসনে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমার কাছে একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন ৫টি গ্রামের শতাধিক ভূক্তভোগী কৃষক।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাড়াশ উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ রেজা সেতার-এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন তাড়াশ সদর ইউপি মো. সোলাইমান হোসেন, উপজেলা কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক মীর শহিদুল ইসলাম, মাসুদ রানা, সেলিম তালুকদার, মো. মিলন সরকার, আব্দুস সামাদ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, অপরিকল্পিত ভাবে যত্রতত্র অবৈধ পুকুর খননের কারণে উপজেলায় বোয়ালিয়া, সরাপপুর, ঝুরঝুরী, ভিকমপুর ও জাহাঙ্গীরগাঁতীসহ উপজেলা জুড়ে এখনও হাজার-হাজার বিঘা উর্বর আবাদি জমি বন্যার পানিতেই তলিয়ে আছে। আজ আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আমাদের বেঁচে থাকার জন্য। পূর্ব তাড়াশে এক বুক পানির নিচে ধান তলিয়ে গেছে। এসব জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নইলে আগামী রবি শস্য ও বোরো চাস-আবাদ হুমকির মুখে পড়বে।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাড়াশ উপজেলা কৃষক বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক মীর শহিদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন ও প্রশাসনের নাকের ঢগায় পুকুর খনন বন্ধ না হলে আমরা তাড়াশ অচল করে দেওয়া হবে। আমরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হবো। এছাড়াও পানি নিরসনের জন্য একটি খাল খননের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। না হলে আমরা কৃষক সমাজ আগামীতে কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, পুকুর খনন তাড়াশ উপজেলায় একটি বড় সমস্যা। এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন। এ বছরে আমি দায়িত্বে নেওয়ার পর পুকুর খননের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে এক বছর করে জেল দিয়েছি। পুকুর খননের ফলে যে জলাবদ্ধতা হয়েছে তা সরেজমিনে গিয়ে দেখে নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।