শরিফুল আলম,ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দোকানির দেওয়া ভুল ওষুধ সেবনে এক নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জীবন এখন সংকটাপন্ন। চিকিৎসকের দেওয়া প্রেসক্রিপশনে লেখা ছিল ঘুমের ওষুধ (ডেনিক্সিল), তবে ওষুধ বিক্রেতা তা না দিয়ে ভুল করে রোগীকে দেন কিডনির ওষুধ (ডাইক্যালট্রল)। এমন অভিযোগ উঠেছে ঈশ্বরগঞ্জের ‘মা ফার্মেসি এন্ড মেডিসিন সুপার শপ’ নামে একটি ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে গতকাল শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীর ছেলে মহিউদ্দিন রানা। এতে বলা হয়, অভিযোগকারীর মা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। গত সংকটাপন্ন রোগী ১ অক্টোবর ময়মনসিংহের ভেনাস হাসপাতালে মেডিসিন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে এম সাজিদুর রিহমান সিদিক নামে এক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা- নিরীক্ষার পর বেশ কিছু ওষুধ লিখে দেন। এরপর মঙ্গলবার রাতেই ঈশ্বরগঞ্জ পৌরবাজার ও ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশের ‘মা ফার্মেসি এন্ড মেডিসিন সুপার শপ’ থেকে প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওইসব ওষুধ কিনে নিয়ে আসেন রানা। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পর থেকে তার মায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়। এরপর শুক্রবার কিনে আনা ওষুধের সঙ্গে প্রেসক্রিপশন মিলিয়ে দেখেন একটি ওষুধের মিল নেই। পরে স্থানীয় এক চিকিৎসককে দেখালে তিনি জানান,প্রেসক্রিপশনে যেটা লেখা ছিল সেটা ঘুমের ওষুধ; কিন্তু এর পরিবর্তে দোকানি ভুল করে কিডনির ওষুধ দিয়ে ফেলেছে। আর ভুল ওষুধ খাওয়ার কারণে রোগীর সমস্যা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মা ফার্মেসি এন্ড সুপার শপের মালিক আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি সত্যিই ত ইভুল হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো।’ তাছাড়া তার ফার্মেসির কারোরই ফার্মাসিস্ট, ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অথবা ফার্মেসি টেকনিশিয়ানের কোর্স করা নেই বলেও স্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ওই ফার্মেসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব ফার্মেসি সরকারি নিয়মনীতির বাইরে অনভিজ্ঞ জনবল দিয়ে পরিচালনা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’