নিজস্ব প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জে রায়গঞ্জে এক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি’র অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ঘুড়কা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কেএম ফজলুল হকের (৫০) এর বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী কে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি’র বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারবার বুধবার (৬ নভেম্বর) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীর বাবা আলাউদ্দিন মন্ডল।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, রায়গঞ্জ উপজেলাধীন ঘুড়কা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: ফজলু কর্তৃক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ১৩ বছর বয়সের কিশোরীকে গত ২ নভেম্বর শনিবার শ্রেণীকক্ষে একা পেয়ে জোরপূর্বক স্পর্শ কাতর জাগায় হাত দেয়। এতে ওই শিক্ষার্থী বাধা দিলে তাকে নানা ভয়ভীতি দেখায় ঐ শিক্ষক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, ঐ স্যার অনেক দিন হলো আমার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় এতে বাঁধা দিলে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে শিক্ষার্থী ও তার বাবা আলাউদ্দিন প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী জানায় গত ২০১৪ সালে বিদ্যলয়ের এক ছাত্রীকে শ্রীলতাহানির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত হন শিক্ষক ফজলু সরকার।
সে সময় সহকারী শিক্ষক কেএম ফজলুল হককে অপসারণ চেয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন এলাকাবাসী। সে ঘটনায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সহকারী শিক্ষক ফজলু সরকার ঘুড়কা ইউনিয়নের চক গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আসাদ সরকারের ছেলে। শিক্ষক কেএম ফজলুল হককে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপজেলা পরিষদের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক কেএম ফজলুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গকুল চন্দ্র জানান, এ ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।