শরিফুল আলম,ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লোপাটের পর
৫ জনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত( ৬ নভেম্বর) বুধবার ভোক্তভোগীদের মধ্যে এরশাদুল ফরাজী(৩৭) বাদী হয়ে মো. লিটন মিয়া(৪২) নামে একজনকে প্রধান আসামি করে এবং আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সাখুয়া মাঝের-চর গ্রামে এ ঘটনা। আসামীরা হলেন,মো.লিটন মিয়া (৪২), মো. খোকন মিয়া (৩৮),মো. রিফাত মিয়া (২২), মো. সালমান (২৫), মো. রাজন মিয়া (২৩), মো. রিপন মিয়া (২০), মো. জাহাঙ্গীর (৩২), মো. আলমগীর (২৯), মো. গোলাম হোসেন (৬৫), মো. হারুন অর রশিদ (৪৫), মো. আবু সাঈদ (৪২)। তারা সকলেই সাখুয়া মাঝের-চর গ্রামের বাসিন্দা।ভোক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাখুয়া মাঝের-চর গ্রামের এরশাদুল ফরাজীদের সাথে প্রতিবেশী লিটন মিয়াদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনারদিন গত মঙ্গলবার সকালে প্রতিপক্ষ লিটন মিয়াদের সাথে বসতঘরের জায়গাজমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিবাদীগণ লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও দেশীয় নানান অস্ত্রসস্ত্রসহ এরশাদুল ফরাজীদের বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে বাধা দিলে প্রতিক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে এরশাদুল ফরাজীসহ তার বাবা নবী হোসেন(৭৮),মা মজিদা খাতুন(৬৫), বড় ভাই মো. আ: রশিদ(৪৫), আরশাদ আলী(৪৭) ও ভাবী শিরিনা আক্তারকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতলে পাঠায়। পরে আহতদের মধ্যে এরশাদুল ফরাজী কিছুটা সুস্থ হয়ে বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ে করে। এরশাদুল ফরাজী জানায়, ‘পূর্ব পরিকল্পিতভাবেবিবাদীগণ আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে আহত করে। আমার বাবা নবী হোসেন , মা মজিদা খাতুন ও বড় ভাই আ:রশিদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। আমার মা ও বড় ভাইয়ের পা ভেঙে দিয়েছে। এছাড়া বাকী সবাইকে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করেছে। আমাদের তিনজন এখনও ময়মনসিংহ হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন,বিবাদীগণ আমাদের লোকজনদের পিটানোর পর বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর করে ঘরে থাকা নগদ ৩ লাখ টাকাসসহ স্বর্ণালংকার ও গৃহস্থালির আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
গত বুধবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তদের মধ্যে আলমগীর হোসেন (২৯) নামে একজন বলেন,’ এরশাদুলের বাবা নবী হোসেন জোরপূর্বক আমাদের জায়গাজমি ভোগ করতে চাইলে আমরা বাধা দিই। তারাই আমাদের আগে মারতে আসে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন,’ এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।