
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজাদ হোসেন আজাদকে হাতুড়িপেটা ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্ত জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান করেছে বিএনপি। রবিবার সকালে উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য সচিব ও সাবেক ডিআইজি বিএনপি নেতা খান সাঈদ হাসান, উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল ওয়াহাব, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আজিজুর রহমান মানু, পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব নিক্সন কুমার মানিক, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক গোলাম আউলিয়া ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর রিসালাত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
সমাবেশ বিএনপি নেতা আব্দুল ওহাব বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর মূলে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আমরা গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বিগত সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। ওই সময়ে জামায়াতের কয়জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে। অথচ জুলাই অভ্যত্থানের পর ক্ষমতার লোভে জামায়াত সবাইকে ক্ষমা করে দিচ্চে।
তিনি আরো বলেন, জামায়াত বলে ক্ষমতায় গেলে দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা হবে, অথচ মন্দিরে গিয়ে তারা গীতা পাঠ করেন। জামায়াত শতকরা ৩ ভাগ ভোট নিয়ে বড়াই করে তারা বিএনপির সাথে প্রতিযোগিতা করতে চায়। প্রকৃত পক্ষে তারা ধর্মের নামে জাতির সাথে প্রতারনা করছে। এসময় বিএনপি নেতা আজাদের ওপর হামলার সাথে জড়িত জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার জোর দাবি জানান তিনি।
বক্তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিএনপি নেতা আজাদের ওপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবী করেন। অন্যস্থায় থানায় দায়ের হওয়া মামলা ডিবি পুলিশের হস্তান্তরের দাবী করা হয়। মানবন্ধনে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপি নেতা আজাদকে উল্লাপাড়া থানার গেটের সামনে হাতুড়িপেটা করা হয়। তাকে ঢাকার শ্যামলীতে অবস্থিত বাংলাদেশ স্পেশালাইষ্ট হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। হাতুড়ির আঘাতে তাঁর মাথার দুটি স্থানের খুলি (হাঁড়) ভেঙ্গে যাওয়ায় অপারেশন করতে হয়েছে। এ ঘটনায় আহতের ভাই উল্লাপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের ১৫জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও ২০ থেকে ২৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামী পৌর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক হাফিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।