1. thedailydrishyapat@gmail.com : TheDaily Drishyapat : TheDaily Drishyapat
  2. info@pratidinerdrishyapat.com : Pratidiner Drishyapat : Pratidiner Drishyapat
  3. admin@thedailydrishyapat.com : admin :
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
নাটোরের নলডাঙ্গায় মাদক বিরোধী মানববন্ধন স্ত্রীর প্রেমিককে ফাঁসাতে নিজের বন্ধুকে হত্যা ছাত্রদলের কর্মী হত্যার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক কর্তৃক মানববন্ধন গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে উল্লাপাড়ায় নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সিরাজগঞ্জে চীন মৈত্রী হাসপাতাল করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন উল্লাপাড়া জামায়াতের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি ও স্বারকলিপি প্রদান ঈশ্বরগঞ্জে সেতু নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মামা-মামি ও বোনকে খুনের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড সলঙ্গার হাটিকুমরুলে কোচ চাপায় অটোরিক্সার যাত্রী নিহত চুরি যাওয়া সেচ যন্ত্র উদ্ধারের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন-বিক্ষোভ

স্ত্রীর প্রেমিককে ফাঁসাতে নিজের বন্ধুকে হত্যা

সংবাদ প্রকাশক:
  • Update Time : সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বন্ধুকে গলা কেটে হত্যা করে স্ত্রীর প্রেমিককে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন মোঃ সেলিম হোসেন। ক্লু-লেস এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সেলিম এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের পেছনের প্রেম ও প্রতিশোধের গল্প প্রকাশ করেন।

নিহত রাশেদুল ইসলাম (৪০) সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসদরের ওয়াপদাবাঁধ এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে এবং পেশায় একজন পিকআপ চালক। গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে তাড়াশ পৌরসভার আসানবাড়ি এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে তার গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই ক্লু-লেস এই হত্যা মামলার তদন্তে নামে জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় তদন্তে নামে একটি চৌকস টিম। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আসানবাড়ি গ্রামের মৃত সামছুল হোসেনের ছেলে ও রাশেদুল ইসলামের বন্ধু মোঃ সেলিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

পরে সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকালে তাকে আদালতে হাজির করলে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সেলিমের স্ত্রী শেরজা জনৈক আউয়াল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে যান, কিন্তু তালাক না হওয়ায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে মরিয়া ছিলেন। এই কারণে আউয়ালের প্রতি ক্ষোভ জমতে থাকে সেলিমের। পরে স্ত্রী শেরজার ব্যাগে প্রেমিক আউয়ালের একটি মানিব্যাগ, ছবি, সিমের কাগজ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি খুঁজে পান তিনি। তখনই পরিকল্পনা করেন, বন্ধুকে হত্যা করে সেই মানিব্যাগ মরদেহের পাশে রেখে দিলে আউয়ালকে ফাঁসানো যাবে এবং স্ত্রীকে ফিরে পাওয়া যাবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, পহেলা বৈশাখের আগে সেলিম একটি মেমোরি কার্ড, ঘুমের ওষুধ ও বাংলা মদ সংগ্রহ করেন। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাশিদুলকে মদ খাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ধানক্ষেতে নিয়ে যান। স্পিড বোতলে মিশিয়ে দেন ঘুমের ওষুধ, আর ক্লেমনে রাখেন শুধুই মদ। রাশেদুল অচেতন হলে কোমর থেকে ছুরি বের করে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে ধানক্ষেতেই লাশ ফেলে রেখে বাড়ি ফিরে যান তিনি।

পুলিশ হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, ঘুমের ওষুধযুক্ত স্পিড বোতল, ক্লেমনের বোতল, মানিব্যাগ, রাশিদুলের মোবাইল ও একটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার করেছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ একরামুল হোসাইন বলেন, বন্ধু রাশেদুলকে হত্যা করে স্ত্রীর প্রেমিক আউয়াল এর পরিচয় শনাক্তের কিছু জিনিস লাশের পাশে রাখেন সেলিম। যেনো, সবাই সন্দেহ করে আউয়াল হত্যা করেছে। আউয়াল ফেসেঁ গেলে সে আবার তার স্ত্রীকে ফিরে পেতেন। 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
প্রতিদিনের দৃশ্যপট ২০২৪
Theme Customized BY Kh Raad (FriliX Group)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com