গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
নাটোরের গুরুদাসপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পূর্ব নওপাড়া গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে ১৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৭ জনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই ডিবি ও থানা পুলিশের অভিযানে ওই বাহিনীর ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, আব্দুল মজিদের সাথে প্রতিবেশী আব্দুস সালামের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তারা উপজেলার পূর্ব নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে আব্দুস সালাম সন্ত্রাসী ভাড়া করেন। ইফতারের পরপরই আব্দুস সালামের ভাড়া করা বাহিনী আব্দুল মজিদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় হাতুরি ও লোহার রড দিয়ে আব্দুস সালামের স্ত্রী, ভাইসহ ৫ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা প্রতিবেশীদের ওপরও হামলা চালায়। এতে আরও চারজন আহত হয়।
আহত প্রতিবেশী দিলদার হোসেন বলেন, আব্দুল মজিদের বাড়ির সামনে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আব্দুস সালামের ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটাতে শুরু করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে খলিল মন্ডল, জহির আলী, নিরব, দেলোয়ার, আমিরসহ বেশ কয়েক জনের ওপর হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচারে হামলা চালানো দেখে গ্রামের মানুষ এসে সন্ত্রাসী বাহিনীর উজ্জল হোসেন (৩৫), বিপ্লব (২৬), মেহেদী হাসান (৩০) ও নজরুল ইসলামকে (৩২) গণপিটুনি দিয়ে আটক রাখা হয়। আসামিরা পার্শ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলা থানা মোড় এলাকার বাসিন্দা।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে বাহিনীর ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার দুপুরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।