কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর বিস্তীর্ণ চর ও বালুচর সমুহে মিষ্টি কুমড়া বাম্পার ফলন হয়েছে। নদীর বুক জুড়ে সবজি জাতীয় এ ফসলের ক্ষেত দেখে মন ভরিয়ে যায়। বর্তমানে চলছে চাষাবাদকৃত ক্ষেত থেকে চাষীদের কুমড়ো তোলার মহোৎসব। এবারে ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কর্পূরার চর, চর রামনিয়াসা,চর চাপরারপাড়া, থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার চর বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আকেল মামুদ, বালাডোবা, সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কাজিয়ার চর, নামাজের চর , জাহাজের আলগা , দই খাওয়া গেন্দার আলগা , কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগল বাসা ইউনিয়নের চর সিতাইঝাড় ও চর কৃষ্ণপুরসহ ধু-ধু করা বালুচর সমূহের আগাম জাতের এসব মিষ্টি কুমড়ার ক্ষেত দেখে যেনো চোখ জুড়ে যায়। বর্তমানে কৃষাণ- কৃষাণিরা আবাদের সবজি বাজারজাত করার জন্য ক্ষেত থেকে উত্তোলন করছেন কমড়ো। আর সে গুলো স্থানী হাট-বাজারসহ পার্শ্ববর্তি জেলা ও উপজেলার হাট-বাজারে সরবারহ করা হচ্ছে।
ফলে ক্রেতা সাধারণ নতুন সবজি হিসাবে একটু বেশী মূল্যে হলও তা ক্রয় করতে পারছেন। এসময় ক্ষেতের মধ্যে মিষ্টি কুমড়া নিতে আসা কাঁচামাল ব্যবসায়ী বেলাল ও আব্দুল মতিন জানান, বর্তমান বাজারে কুমড়ার নতুন আমদানি হওয়ায় বাজারে চাহিদা রয়েছে। তাই গতবারের তুলনায় এবারে দাম অনেকটা বেশি।
কৃষক আব্দুল মালেক, হাবিবুর রহমান ও শমসের আলীর সাথে কথা হলে তারা জানান, অনাবাদী পতিত জমিতে এবার অন্য সবজির থেকে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করে বাড়তি আয় করায় আমরা খুশি। এসব অঞ্চলের অভাবী প্রান্তিক ও বর্গাচাষীদের মাঝে প্রয়োজনীয় কৃষি পরামর্শ, প্রণোদনা, উন্নত বীজ সরবারহ করতে পারলে বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে সচেতন মহল মনে কারেন।
এ ব্যপারে উলিপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুল করিম এ প্রতিবেদককে জানান, বালু ও পরিত্যক্ত ভূমিতে কুমড়া আবাদ করা হয় একেবারেই কম খরচ হেক্টর প্রতি ৪০ টন উৎপাদন হয়।
তবে এবার ভুট্টারাবাদ বেশি থাকায় কুমড়া চাষাবাদ কম খরচে কৃষকরা তারপরও কিভাবে ভাল ফসল উৎপাদন করা যাবে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।