সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
সোনালী আঁশে ভরপুর ভালোবাসি ফরিদপুর। পেঁয়াজের পাশাপাশি পাটেও পিছিয়ে নেই ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। এবছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হযেছে ১২ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। এখানে পাট ও পেঁয়াজ, এই দুটি ফসল উৎপাদন হয় সমান তালে। এই অঞ্চলেের ৯০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তাই তারা সব সময় ফসল উৎপাদণে ব্যস্ত থাকেন।
আজ বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা কাচি, টেঙ্গি হাতে পাটের ক্ষেতে আগাছা পরিস্কার করছেন। আবার কেউ কেউ পেঁয়াজ উত্তোলন করছেন। তবে পাটের গাছ উঁকি মারছে। মাঝে মাঝে বাতাসে পাটের ছোট গাছগুলো নাড়াচাড়া দিচ্ছে। সারা মাঠজুড়ে চলছে পাটের আবাদ নিয়ে চাষিদের ব্যস্ততা।
পাট চাষী আলতাফ মাতুব্বর বলেন, এবার পেঁয়াজের মধ্যেদিয়ে এক একর জমিতে পাটের বীজ বপন করেছি। পেঁয়াজ উত্তোলন শেষে পাটের আগাছা পরিস্কার করা হচ্ছে। এখন প্রয়োজন পানি, সার ওষুধ । যদিও বৃষ্টি তেমন নাই। বৃষ্টি না হলে জমিতে সেচ দেওয়া হবে।
বাচ্চাু মোল্লা নামে আরেক চাষি বলেন, পেঁয়াজের মধ্যেদিয়ে পাটের বীজ বুনা হয়েছে। কযেকদিন আবহাওয়া ভালো থাকলে নিচু জমির পাট দ্রুত বেড়ে উঠবে। আর যদি ভারী বর্ষন হয় তাহলে তলিয়ে যাবে। আপাতত পাটের চারাগাছ সুন্দর আছে।
সালথার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, এবছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েচে ১২ হাজার ৩২০ হেক্টর। অন্যেন্য ফসলের চাষ শুরু হওয়ায় পাটচাষের লক্ষমাত্রা কিছু কম হতে পারে। এই অঞ্চলে তোষাপাট জাতের চাহিদা বেশি। এবার ভারতীয় তোষা বীজ বপন করেছে অধিকাংশা চাষি। চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।