নওগাঁ প্রতিনিধি:
জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নওগাঁ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার ১২ এপ্রিল সন্ধ্যয় নওগাঁ শহরের উকিলপাড়ায় বেসরকারি সংস্থা মৌসুমী বিদ্যানিকেতন মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান হয়।
“ঐক্য যেখানে, বিজয় সেখানে” প্রতিপাদ্য নিয়ে স্বপ্নবাজ এক ঝাঁক তরুন ও প্রবীনদের উদ্যোগে ২০১৮ সাল থেকে পথ চলা শুরু করে নওগাঁ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। যার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সিনিয়র সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী সৌরেন। যাদের উদ্দেশ্য বিশ্বদরবারে নওগাঁর ওয়েলফেয়ার নামক এই সংগঠনকে পরিচিতি লাভ করানো।
ডাক্তার ফারহানা ফারুক তন্দ্রার সঞ্চালনায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হাসান, মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সংগঠনের উপদেষ্টা হামিদুর রহমান, নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক কায়েস উদ্দিন ও নবির উদ্দিন, সংগঠনের উপদেষ্টা ও একুশে পরিষদের সভাপতি ডিএম আব্দুল বারি ও সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেলসহ আরও অনেকে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, এমপির সহধর্মিনী রক্তিমা চক্রবর্ত্তী, জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক বেলায়েত, বালুভরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সুকমল কর্মকার, সনৎ কুমার চক্রবর্ত্তী, মৌসুমী এনজিও’র নির্বাহী পরিচালক হোসেন শহীদ ইকবাল ও উপ-পরিচালক এরফানসহ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়শনের সদস্যসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এমপি সৌরেনকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, ওয়েলফেয়ার বিষয়টি কল্যাণের এবং আমরা মানুষের জন্য কল্যণকর কিছু করতে চাই। এই সংগঠনের হাল ধরার মতো একজন বটবৃক্ষ আছেন। তাকে সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যাবো। যে যার অবস্থান থেকে যদি এগিয়ে আসি তাহলে অনেক অসহায়, দরিদ্ররা উপকৃত হবে। এই সংগঠনের সদস্যদের কাজে একসময় প্রমাণ করবে বাংলাদেশে নওগাঁ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন আছে।
সাফল্য মন্ডিত বক্তব্যে এমপি সৌরেন বলেন, নওগাঁ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সদস্যরা নিজের টাকা দিয়ে কাউকে না কাউকে প্রতিনিয়ত সহযোগীতা করে থাকে। এর পরিধি আমরা আরও বাড়াতে চাই। সমাজে অনেক কোটিপতি আছে, কিন্তু তাদের সহযোগীতা করার মনমানসিকতা থাকতে হবে। সহযোগীতা করার জন্য বোধগম্য থাকতে হবে। থাকতে হবে সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের জন্য ২০ ঘন্টা কাজ করেন। এই বয়সেও যদি উনি
পুরো দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন, তাহলে আমরা কেন পারবো না? আমাদের সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগীতা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আমরা একদিন সফল হবো। এমন কিছু কাজ করতে হবে, যেন সেখানে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হয়। আমি প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এলাকার জনগণের জন্য সেই ধরণের কিছু কাজ করার চেষ্টা করবো।