তাড়াশ সংবাদদাতা :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পৌরসভার খাজনা আদায়ের রশিদ দিয়ে তিন ইউনিয়নের হাট-বাজার থেকে অবৈধভাবে খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর শামিম সরকার ও বাবু তালুকদারের বিরুদ্ধে। (২ মে) বৃহস্পতিবার অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ইকবাল হোসেন নামে একজন ভুক্তভোগী ইজারাদার। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর শামিম সরকার ও বাবু তালুকদার তাড়াশ পৌর সদরের তাড়াশ বাজার ইজারা নেয়। তারপর দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আড়ংগাইল হাট, মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা বাজার, ওয়াশিন বাজার, পৌষার বাজার, ধাপ ওয়াশিন বাজার ও মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের ধানের বাজার স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দেয়। তারা শামিম সরকার ও বাবু তালুকদারের নামে ছাপা পৌরসভার ‘ দৈনিক ধান বাজার ’ রশিদ দিয়ে এসব হাট-বাজার থেকে খাজনা আদায় করছেন।খাজনা আদায়কারী জাহাঙ্গীর আলম, বাবু ও আজগর আলী বলেন, কাউন্সিলর শামিম সরকার ও বাবু তালুকদার আমাদের কাছে ধানের হাট-বাজার বিক্রি করে পৌরসভার রশিদ দিয়ে খাজনা আদায় করতে বলেছেন।এদিকে ভুক্তভোগী ইজারাদার ইকবাল হোসেন বলেন, আমি দেশীগ্রাম ইউনিয়নের আড়ংগাইল হাটের ইজারা নিয়েছি। অথচ পৌরসভার রশিদ দিয়ে জোরপূর্বক ধানের খাজনা আদায় করা হচ্ছে। কাউন্সিলর শামিম সরকার ও বাবু তালুকদার বলেন, আড়ংগাইল হাট দেশীগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্তৃক উন্মুক্ত ডাকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বাজারগুলোর সরকারিভাবে ইজারা হয়না। স্থানীয়রা মসজিদ ও মাদ্রাসার কথা বলে আমাদের নামে ছাপা পৌরসভার রশিদ ব্যবহার করে ধানের খাজনা আদায় করছেন। মাধাইনগর ইউনিয়নের কাস্তা বাজারের ধানের ব্যবসায়ি জুয়েল হোসেন বলেন, বুধবার ৮৪ বস্তা ধান কিনে ৮৪০ টাকা খাজনা দিয়েছি। আমাকে তাড়াশ পৌরসভার খাজনা আদায়ের রশিদ দেওয়া হয়েছে। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মুস্তাগীর কবির বলেন, পৌরসভার খাজনা আদায়ের রশিদ দিয়ে ইউনিয়নের হাট-বাজার থেকে খাজনা আদায় করা যাবেনা। তাড়াশ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পৌরসভার রশিদ দিয়ে ইউনিয়নের হাট-বাজার থেকে খাজনা আদায়ের বিষটি জানা ছিলোনা। আমি কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলব। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, অবৈধ খাজনা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।