আমিরুল,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
আপনারা বীরের সন্তান, বাঘের বাচ্চা! বাঘের বাচ্চা হয়ে যদি বিড়াল হয়ে যান। তাহলে কি হবে? আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলতে পেরেছি, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু কোটা আন্দোলনের বিষয়ে আমাদের সন্তানেরা কোথাও একটা শব্দ করেছে? মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের অধিকার রক্ষা করা উচিৎ। আমাদের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চেতনাকে জাগ্রত করতে হবে? গর্জে উঠতে হবে। আমাদের সন্তানদের কি দায়িত্ব নাই? অন্যরা কোটা নিয়ে কথা বললে আমাদেরকেও কথা বলতে হবে? শুধু কাগজে কলমে কোটা লিখলে হবে না। সম্মানজনক হারে কোটা পুর্ণবিন্যাস করে শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সিরাজগঞ্জ কামারখন্দের মধ্য ভদ্রঘাট এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল লতিফ মির্জা পরিচালিত পলাশডাঙ্গা যুব শিবির আয়োজিত ভদ্রঘাট যুদ্ধ দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা জনতা মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলি বলছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান বাড়িয়েছেন। আপনারা থাকলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সকল দাবি পূরণ হবে। চিকিৎসার ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঢাকায় উন্নত ২২টি হাসপাতালে সর্বোচ্চ চিকিৎসার জন্য স্পেশাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাস থেকে সারাদেশে সকল মৃত মুক্তিযোদ্ধার জন্য একই ডিজাইনের কবর দেওয়া হবে। যা দেখে সহজেই যে কেউ বুঝতে পারে মুক্তিযোদ্ধার কবর। আমরা সরকারে থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করেছি। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলে চলাচলের রাস্তা পাকাকরণ করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের এই মিলন মেলায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস। এ মেলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ (সদর-কামারখন্দ) -২আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা- উল্লাপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু, জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট কে.এম. হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার,কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ সবুজ, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব গাঁথা স্মরণে ফলদ, বনজ ঔষধ ও বিরল বৃক্ষ রোপন করেন ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।