নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহার আইহাই উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষক আনন্দ বর্মন নিয়মবহির্ভূতভাতে বিশেষ সুবিধা দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী জিয়াউজ্জামান নামের এক শিক্ষককে উত্তীর্ণ হতে সহযোগিতা করেন। জিয়াউজ্জামান আবার আইহাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ২৮মার্চ জাতীয় দৈনিক সমকাল ও আঞ্চলিক দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই মোতাবেক ১০ জন আবেদন করেন। এর ফলশ্রতিতে গত ২৮ জুন ২০২৪ নিয়োগ পরিক্ষায় উক্ত বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ জন অংশ গ্রহন করেন। এসময় আইহাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ বর্মন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কারী শিক্ষক মো: জিয়াউজ্জামান নামের এক পরীক্ষার্থীকে দুর্নীতির মাধ্যমে নকলবাজী করে উত্তর পত্র দিয়ে এবং প্রধান শিক্ষক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে পরীক্ষায় উর্ত্তীন হওয়ার সুযোগ করে দেন। যার প্রমানাদি রয়েছে উক্ত বিদ্যালয়ের সিসিটিভির ফুটেজে।
উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক আনন্দ বর্মনের কারসাজিতে এ নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে ম্যানেজিং কমিটির অধিকাংশ সদস্য ওই নিয়োগ পরীক্ষার কথা জানেন না।
এ ছাড়াও পরীক্ষার্থী জিয়াউজ্জামান বর্তমানে ৪নং আইহাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন এবং দুই প্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতাদি গ্রহণ করেছেন। যা আইনগত দন্ডনীয় অপরাধ।
নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবীতে এলাকার গ্রামবাসী ও অভিভাবক এর পক্ষে মৃত হামির মোল্লার ছেলে মো: সাদেকুল ইসলাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন।
বুধবার বিকেল ৪টায় এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগটি সঠিক নয়। উনি প্রশ্নপত্র বুঝতে পারছিলেন না, তাই বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে কথা হলে তিনি জানান নিয়োম মোতাবেক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল কবীর জানান, একটি অভিযোগ পত্র আমি পেয়েছি এবং ওই নিয়োগ
পরীক্ষায় আমি উপস্থিত ছিলাম এবং এক জন ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত ছিলেন। এখন ষান্মাসিক পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে অভিযোগের অনুলিপি সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,নওগাঁ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নওগাঁ ও দুুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) নওগাঁ প্রেরণ করা হয়েছে।