শাহ আলী জয়:
সাড়ে ২১ টন ভুট্রাসহ চোর চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ভুট্রা ও একটি কাভার্ট ভ্যান জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (২ আগষ্ট) দুপুরে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানা পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়গঞ্জ সার্কেল বিনয় কুমার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন,গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও হতে সাড়ে ২১ টন ভুট্টা বোঝাই কাভার্ড ভ্যান যাহার রেজিঃ নং (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৮৫৪২) এর ড্রাইভার শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে গাজিপুরের বাঘের বাজারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়।
পরের দিন পৌছানোর কথা থাকলেও ট্রাক সহ মালামাল না পৌছালে ভুট্টার মালিক মাহমুদ হাসান রাজুকে মোবাইল ফোনে ভুট্টা বোঝাই কাভার্ড ভ্যানটি না পৌছানোর বিষয়টি জানান গাজিপুরের বাঘের বাজারের কোয়ালিটি ফিড মিল লিঃ এর মালিক। ৩১ জুলাই সকাল ১০ টায় ড্রাইভার শরিফুল ইসলামকে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন গাড়ীর মালিক জিপিএস ট্যাকারের মাধ্যমে জানতে পারে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার নাইমুড়ী বাজার এলাকায় নওরিন এলপিজি গ্যাস পাম্পে গাড়িটি আছে। তখন সলঙ্গা থানা পুলিশকে অবহিত করে এবং এ সংক্রান্তে সলঙ্গা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলার পর প্রথমে ড্রাইভার রতন হোসেন (২০) ও হেলপার সাগর হোসেন (২০) কে গ্রেফতার করে।
পরে সলঙ্গা,রায়গঞ্জ ও বগুড়ার শেরপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান হতে আরো ৭ জনকে গ্রেফতার করে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার শেরপুর থানা এলাকা হতে চোরাই সাড়ে ২১ টন ভুট্রা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো,ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার পলিয়ানপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রতন হোসেন(২০),কুমিল্লার হোমনা থানার জয়পুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন (২০),ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার মেইন আলমপুর গ্রামের আয়েন উদ্দিন শেখের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০),বগুড়ার শেরপুর থানার খন্দকারটোলা গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে হাসান(৪২),শেরপুর থানার সদর হাসরা গ্রামের মৃত বাহাদুল্লা মন্ডলের ছেলে দুলাল মন্ডল (৫৪), শফিকুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হুদা(২৪), রায়গঞ্জ উপজেলার বাকাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মতিন (৩৫),শেরপুর থানার উত্তর সাহাপাড়া গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান মনির(৩৮), বগুড়ার ধুনট থানার বথুয়াবাড়ী গ্রামের মতলেব আলীর ছেলে হাসান(২৬)।
এসময় সলঙ্গা থানার ওসি এনামুল হক,সলঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক শেখ তাজউদ্দিন আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।