হাদিউল হৃদয়
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দরিদ্র পরিবারের নারীদের সংসারের সচ্ছলতার জন্য ৮০ জন নারী কর্মীকে সঞ্চয়ের চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) চার বছর পর ব্যাংক ইন্টারেস্টসহ সঞ্চয়ের ১ লাখ ২০ হাজার ৪২২ টাকার চেক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হয়েছে। এ সময় চেক বিতরণ করেছেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি-৩ এর আওতায় উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের দরিদ্র পরিবারের ৮০ নারী শ্রমিকের কাজ করতেন। প্রতিদিন ২৫০ টাকা মজুরি হিসেবে গ্রামীণ সড়কগুলো রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করতেন। আর সঞ্চয়ের জন্য মজুরির টাকার মধ্যে থেকে প্রতিদিন ৮০ টাকা হিসেবে কাটা হয়েছে। চার বছর মেয়াদি প্রকল্পটি ২০২০ সালের ১ জুন থেকে শুরু হয়। এই প্রকল্পের শেষ দিন ছিল চলতি বছরের ৩১ মে।
ইউএনও সুইচিং মং মারমার সভাপতিত্বে তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা আকতার, উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, সুলভ বাবু, আকবার আলী ও তাড়াশ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামিউল হক শামিম উপস্থিত ছিলেন।
সঞ্চয়ের টাকার চেক পেয়ে উপজেলা সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল গ্রামের মোছা. সালেহা খাতুন বলেন, আমার দুটি সন্তান পড়াশোনা করে। এ টাকা থেকে দুটি ছাগল কিনে পালন করব। বাকি টাকা ব্যাংকে রেখে দেব আমার ছেলেমেয়ের জন্য।
দেশিগ্রাম ইউনিয়নের গুড়পিপুল গ্রামের রেনুকা রানী উঁড়াও বলেন, এ টাকা দিয়ে দুটি গরু কিনব। তারপর যে টাকা থাকবে সে টাকা দিয়ে চাল কিনে রাখব। তাহলে স্বামীর প্রতিদিন চাল কিনতে হবে না। কিছুটা হলেও আয় হবে।
তাড়াশ পৌর এলাকার কহিত গ্রামের মোছা. আমেনা খাতুন বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলের পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। প্রতিদিন যে টাকা আয় হয় তা দিয়েই সংসারে খরচ করেছি। এখন একসঙ্গে অনেক টাকার চেক পেয়ে আনন্দ লাগছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. ফজলুল হক বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় একজন নারী শুধু একবারই এই কাজে শ্রমিক হিসেবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। চার বছর পর প্রকল্প মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। আগামী দিনে এ প্রকল্পের আওতায় আরও ৮০ নারীকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়োগে থাকবে সব নতুন মুখ।