নওগাঁ প্রতিনিধি:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নওগাঁয় বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আওয়ামীলীগের ৯২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১৩ আগস্ট) রাতে সদর মডেল থানায় দায়ের করা এজাহারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকের ৯২ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ। একই সাথে এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে আরও ২৫০ জনকে। এঘটনায় ঘটনায় ছাত্রলীগের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। বিষয়টি বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল ওয়াদুদ।
ওসি তদন্ত আব্দুল ওয়াদুদ জানান, গত ৩ আগস্ট বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে মাহবুব কাদের ফাহিম নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন শহরের কেডি স্কুল মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আওয়ামীলীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেই আন্দোলনের এক দফা দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর প্রায় ১৫ বছর পর নওগাঁয় একসাথে আওয়ামীলীগের ওই সকল নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে বলে জানা যায়।
বিএনপি ও থানা পুলিশ সূত্রে গেছে, গত ৩ আগস্ট নওগাঁয় রাজপথে যখন কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল ঠিক সেই মুহুর্তে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের কেডির মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভাংচুর ও গোলাগুলি করে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।
এসময় নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ ও আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াস তুহিন রেজা’র নেতৃত্বে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে চেয়ার, টেবিল, টিভি, ভ্যানসহ ভেতরে থাকা সবকটি জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের জামাই।
নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ জানান, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ওইদিন আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তান্ডব চলানোর পাশাপাশি পুরো শহরে অরাজকতা ছড়াতে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। শান্তির শহর নওগাঁকে যারা অশান্ত করেছিলো তাদের কাওকে ছাড় দেওয়া হবে না।