নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা প্রায় ১২ দিন ধরে লাপাত্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই আত্মগোপনে চলে যান উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, বেশকিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা।
ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ। চেয়ারম্যান ও ও অন্য জনপ্রতিনিধির কক্ষ তালাবদ্ধ থাকায় উপায় না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১২টায় উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে। তবে কিছু ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তারা উপস্থিত থাকলেও চেয়ারম্যান-মেম্বারের স্বাক্ষরের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। কিছু কিছু প্রতিনিধি আত্মগোপনে থেকে জনসাধারণকে সেবা দিচ্ছেন।
সেবাগ্রহীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় তারা এসে অপেক্ষা করছেন তবুও চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দেখা নেই। গত ৬ আগস্ট সকাল থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে আসছেন না। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পাঙ্গাশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পরিষদে আসছেন।
বম্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন লিটন গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়ার পর থেকে পরিষদের কার্যক্রম বন্ধ আছে। ইতোমধ্যে ১১ আগস্ট পরিষদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবাপ্রার্থীদের পুরোপুরি সেবা দেওয়া হবে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান কালবেলাকে বলেন, শুধু জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সাময়িক অসুবিধার জন্য বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।