সাব্বির মির্জা,তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অনাবাদি ও জলাবদ্ধ জমিতে ডালি পদ্ধতিতে সবজি চাষে সাড়া জাগিয়েছে কৃষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ।
পতিত ও জলাবদ্ধতা জমি পরিষ্কার করে পানির ওপর ডালি স্থাপন করে চাষাবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। উপজেলা কৃষি বিভাগের এই নতুন উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন এলাকার অনেক কৃষক।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, ভাসমান প্রকল্পের সমন্বিত কৃষির আওতায় ডালি পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। তাড়াশ পৌর এলাকায় জলবদ্ধতা জমিতে ঝুলন্ত ডালিতে সবজি চাষ শুরু করা হয়েছে।
এখানে লাউ , শসা, মরিচ, করলাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।সবজি চাষে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করছে বলে জানিছেন কৃষক আবুল কালাম আজাদ।
পৌর গ্রামের কৃষক মো. নাজমুল হক, মো. রফিকুল ইসলাম, সোনিয়া খাতুন, রিনা পারভিনসহ অনেক কৃষক বলেন, ঝুলন্ত ডালিতে সবজি চাষ এলাকায় ব্যাপক সারা ফেলেছে।অনেক কৃষক মৎস্য চাষের পাশাপাশি তারা পুকুড় এবং জলবদ্ধতা জমিতে সবজি চাষ করছেন। ভাসমান প্রকল্পের সমন্বিত কৃষি বিভাগের আওতায় উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এই সবজি চাষ করে লাভবান হবেন বলে তারা জানান।
মাছের চাষের পাশাপাশি ঘেরে ও পুকুরের পানির ওপর বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ঝুলানো হয়েছে বাঁশ, নেট ও পলিথিন দিয়ে তৈরি ডালি। এখানে কৃষকরা বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। অনাবাদি জমিতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সবজি ও ফসল ফলাতে পারেন তাহলে তারা লাভবান হতে পারবেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এসব কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুকুর ও জলবদ্ধতা জমিতে সবজি চাষে সফলতা দেখছেন কৃষকরা। জলাবদ্ধ পতিত জমিতে এভাবে ডালি পদ্ধতি, গোড়া পদ্ধতি ও ভাসমান বেড়ে সবজি উৎপাদন করে এই এলাকায় কৃষকরা লাভবান হবেন এমনটি প্রত্যাশা করেন তারা । সবজি উৎপাদনে কৃষকদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে।