নিজস্ব প্রতিনিধি :
আর মাত্র দুইদিন পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা আগামী বুধবার দেবীদূর্গার ৬ষ্টী বোধনের মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে।
দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল মহালয়া। আর কয়েকটা দিন গেলেই শুরু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়া দুর্গা পুজো। সব বাঙালির এই পার্বণের প্রস্তুতি প্রতি বছরের মতোই প্রায় শেষের পথে। তবে এই বছরের দুর্গা পুজো অন্যবারের তুলনায় কিছুটা হলেও আলাদা। কারণ এই বছর অষ্টমী ও নবমী তিথি পড়েছে একই দিনে। তাছাড়া তিথি শুরু ও ছাড়ার সময়টাও গতবারের পুজোগুলির তুলনায় একটু আলাদারকমের।
মহালয়ার মাধ্যমে দূর্গাপুজার সুচনা হয়েছে।আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্টীর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।প্রতীমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। ইতিমধ্যেই মন্ডপ পরিচালনা কমিটি পুজার সকল কাজ এগিয়ে নিতে পুরোদমে কাজ করছেন। স্টেজ,লাইটিং বা সাজ সজ্জার প্রস্ততিও নিচ্ছেন অনেক পুজা পরিচালনা কমিটি।সুষ্ঠ,সুন্দর ও নির্বিঘ্নে পুজা সম্পন্ন করার জন্য মন্ডপ নিরাপত্তার পৃথক পৃথক স্বেচ্ছাসেবক কমিটিও গঠন করেছেন অনেকেই।এবারে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৭৮ টি মন্ডপে দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে।সকল মন্ডপ পরিচালনা কমিটির সাথে প্রশাসনের মত বিনিময় ও সুষ্টভাবে পূজা পরিচালনায় দিকনির্দেশনা মুলক সভা করা হয়েছে।এবারে রায়গঞ্জ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ধামাইনগরে ১১ টি,সোনাখাড়ায় ১৩ টি ,ধুবিলে ২ টি,ব্রক্ষগাছায় ৩ টি, নলকায় ৪ টি,পাঙ্গাসীতে ৫ টি,চান্দাইকোনায় ২০ টি,ঘুড়কায় ১৩ টি এবং ধানগড়ায় ৭ টি মন্ডপে দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে।রায়গঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডা: চন্দন কুমার সরকার জানান,সরকারি দিক নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ ভাবে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে পূজা অর্চনা করা হবে।সরকারি ভাবে পুলিশ-আনসারের পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি মন্ডপে আলাদা ভাবে স্বেচ্ছাসেবক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান জানান,সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ব বৃহৎ শারদীয় দূর্গোৎসব নির্বিঘ্নে এবং উৎসব মুখর পরিবেশে পালনের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ হতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।দূর্গাপুজা সুষ্ঠ,সুন্দর ও নির্বিঘ্নে পালনের জন্য সকল রাজনৈতিক দল,জনপ্রতিনিধি,সুধীজন, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি সার্বিক সহযোগীতা আশা করেছেন।