প্রতিহিংসা পরায়নতা শান্তির পথ নয়। রাষ্ট্র সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা এবং সময় দেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে জনগণকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে করতে জামায়াতের কর্মীরা প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সার্বিক সহযোগিতা দিতে হবে।মঙ্গলবার রাতে উল্লাপাড়ার ডাকবাংলোতে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্য ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে এদেশের বহু ছাত্র-জনতা আত্মোৎসর্গ করেছেন। তাদের রক্ত ও ত্যাগ কখনই বৃথা যেতে পারে না। আন্দোলনকারীরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন সেই স্বপ্ন অবশ্যই আমাদেরকে বাস্তবায়ন করতে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। ঘুষ, দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মানে সকল জাতি ধর্ম নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে যেতে হবে। জামায়াতী ইসলামি এ দেশে হিন্দু সম্প্রদায়কে কখনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিসেবে মনে করে না। সকল ধর্মাবলম্বী এদেশের নাগরিক। প্রত্যেকেরই যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করার অধিকার রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। প্রতিহিংসা পরায়নতা কখনই সমাজ ও দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে তাদের চলমান কাজে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি গনমাধ্যম কর্মীদেরকে স্বাধীনভাবে তাদের মত প্রকাশ করার আহবান জানান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মওলানা শাহিনুর আলম, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক শাহজাহান আলী, অধ্যাপক শহিদুল ইসলামসহ সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।