পি. কে রায়, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজার বিশেষ আকর্ষণ কুমারী পূজা । মহা অষ্টমী তিথিতে দিনাজপুর রাজকৃষ্ণ আশ্রমে অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে এবার কুমারী পূজা সম্পন্ন হয়েছে ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৯ ঘটিকায় রামকৃষ্ণ আশ্রমের স্বামী অমৃতত্বানন্দ ভবন ও আশ্রম শতবর্ষ মিলনায়তনে এই কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনাজপুর শহরের ভুটিবাবুর মোড় এলাকার সঞ্জয় মুখার্জির নাবালিকা কন্যা ভাগ্যশ্রী মুখার্জি (৭) কে বিশুদ্ধ নারীর রুপ কল্পনা করে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয় ।
হিন্দু শাস্ত্রীয়মতে সাধারণত ১ থেকে ৭/৮ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা ব্রাহ্মণ বা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কুমারী নারীকে দেবী জ্ঞানে পূজা করা হয়। শ্রী রামকৃষ্ণের কথামৃত অনুসারে শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতী রুপ বেশী প্রকাশ পায় এবং মাতৃরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার উদ্দেশ্য।
কুমারী পূজা উপলক্ষে কুমারী নারীকে স্নান করিয়ে নতুন বস্ত্র, পায়ে আলতা, সিঁথিতে সিদুর নানা অলংকারের সজ্জিত করে ঢাক, ঢোল, শংঙ্খের ধ্বনি ও উলুধ্বনি দিয়ে দেবী দূর্গা জ্ঞানে পূজা করা হয়।
কুমারী পুজা করেন সঞ্জয় চক্রবর্তী। মহারাজ ও রামকৃষ্ণ আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী বিভাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, “কুমারী পুজার মাহাত্ম্য হলো নিজের মধ্যে অসুর মনোবৃত্তি পরিহার করে মাতৃজ্ঞানে নারীকে উপলব্ধি করা”। তিনি আরও বলেন জেলা প্রশাসকের সহোযোগিতার আশ্বাসে পুলিশ ও সেনাবাহিনীসহ সকলের সার্বিক সহযোগিতায় নির্বিঘ্নে কুমারী পূজা সম্পন্ন হলো”।